ইউরোপ সেরার মঞ্চে শেষ ষোলোয় ইউভেন্তুসকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ভিয়ারিয়াল। পরের রাউন্ডে তাদের সামনে ছিল আরও শক্ত প্রতিপক্ষ বায়ার্ন। সেই বাধা পেরিয়ে সেমি-ফাইনাল খেলবে উনাই এমেরির দল, এমনটা ভাবার লোক খুব বেশি ছিল না।
কিন্তু ভিয়ারিয়াল তাদের বিস্ময়কর যাত্রা অব্যাহত রেখে আসর থেকে বিদায়ঘন্টা বাজিয়ে দেয় জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে পা রাখে লা লিগার ক্লাবটি। ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা।
অ্যানফিল্ডে বুধবার হবে লিভারপুল ও ভিয়ারিয়ালের লড়াইয়ের প্রথম লেগ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ক্লপ বললেন, প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সমীহের চোখে দেখছেন তারা।
“(ভিয়ারিয়াল) কিছুটা সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে, কারণ ইউভেন্তুস বা বায়ার্ন মিউনিখ সম্ভবত তাদের অবমূল্যায়ন করেছিল। কিন্তু আমরা সেটা করব না। তারা ফাইনালে খেলতে চায়, লড়াইটা আমাদের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
“লড়াইটা স্পেশাল হবে। এটা রোমাঞ্চকর- অনেক বড় ম্যাচ। অনেক কোচ, খেলোয়াড়রা সারা জীবন চেষ্টা করেও এমন কিছুর কাছাকাছি যেতে পারে না। আমাদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে এবং লড়াই উপভোগ করতে হবে।”
ভিয়ারিয়াল কোচ উনাই এমেরি ও তার দলের খেলার ধরন মনে ধরেছে ক্লপের।
“আমরা ভিয়ারিয়ালকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছি। উনাই এবং তার দলের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি তাদের (খেলা) খুব ভালোভাবে দেখেছি, কী দারুণ খেলে তারা!…বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার দল ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।”
পায়ের চোটের কারণে লিভারপুলের সবশেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি রবের্তো ফিরমিনো। প্রথম লেগেও এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের খেলার সম্ভাবনা নেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুল সবশেষ সেমি-ফাইনাল খেলেছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। সেবার শেষ চারের লড়াইয়ে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় পেছনে ফেলার পর ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্লপের দল।