মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মলনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা
থেকে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান র্যাব- ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
ছিতাকারী চক্রটিকে ধরতে র্যাব- ৩ এর সাতটি দল রাজধানীর
লালবাগ, সিদ্ধিরগঞ্জ,পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, খিলগাঁও, হাতিরঝিল,
ওয়ারিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় বলে জানান তিনি।
৩০টি ট্যাব, দেড় হাজার মোবাইল ফোন সেট, ২৮টি নতুন ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়
গ্রেপ্তার ৩১ জনের মধ্যে গুলিস্তানের মো. রাকিব, পল্টনের
মো. বিল্লাল হোসেন, রমনার মো. পারভেজ, শাহবাগের মো. নাছির উদ্দিন ওরফে পিন্টু
এবং মতিঝিলের মো. ইউসুফ বেপারীর নাম জানিয়েছেএন বাহিনীর এই কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩০টি ট্যাব, দেড় হাজার মোবাইল
ফোন সেট, ২৮টি নতুন ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, “এসব
চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপ কিনে নিয়ে একটি চক্র জঙ্গি কার্যক্রম, অপহরণ,
হত্যা, গুম, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ করছে।”
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এসব ছিনতাই বা চুরি করা মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন
করে নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে তারা বিক্রি করে থাকে।”
মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরির সময়
এর মধ্যে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই বা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি
নম্বর প্রোগ্রাম করা থাকে। এর মাধ্যমে একটি ফোন সেট শনাক্ত করা যায়।
চক্রটির সঙ্গে অসাধু মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা জড়িত আছে বলে জানিয়েছে র্যাব
ফোন প্রস্তুতকারক
কোম্পানি ওই নম্বর দিয়েই ব্যবহারকারীর সব তথ্য সংরক্ষণ করে। কোনো ফোন হারিয়ে গেলে ওই
নম্বরটি দিয়ে সেটি ট্র্যাক করা যায়।
দুটি
আসল ফোনের আইএমইআই নম্বর কখনও এক হয় না। নকল ফোনে আইএমইআই নম্বর থাকে না, থাকলেও
সেটি হয় জাল। সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এ ধরনের নম্বরবিহীন কিংবা জাল আইএমইআই
নম্বর বসানো সেটই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযোগ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের
সঙ্গে অসাধু মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের একটি চক্র জড়িত বলেও জানায় র্যাব।
রাজধানীর মতিঝিলসহ নয়টি এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ২০টি চক্র
রয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা মতিঝিল, মুগদা, শাহজাহানপুর, পল্টন,
খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, শাহবাগ এবং রমনা এলাকায় সক্রিয়।