ক্যাটাগরি

মৌসুমে হাজার রান ছুঁয়ে অনন্য এনামুল

লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গত বৃহস্পতিবার নিজের করে নেন এনামুল। এবার তিনি স্পর্শ করলেন প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক মৌসুমে হাজার রানের মাইলফলক।

বিকেএসপিতে মঙ্গলবার রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১১২ রানের ইনিংস খেলার পথে এই কীর্তি গড়েন এনামুল। চলতি আসরে ৩ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে তার রান এখন ১০৪২। রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে তার, এখনও লিগে বাকি একটি ম্যাচ।

হাজার রান ছুঁতে ৭০ রান দূরে থেকে ম্যাচটি খেলতে নামেন এনামুল। রূপগঞ্জ টাইগার্সের দেওয়া ২৩০ রান তাড়ায় খেলতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলেই সেই রান তুলে ফেলেন তিনি।

এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি এতদিন ছিল সাইফ হাসানের। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচে সেটি নিজের করে নেন এনামুল। ২০১৯ সালের লিগে প্রাইম দোলেশ্বর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ৮১৪ রান করেছিলেন সাইফ। ওই বছরের লিগেই লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৮০৭ করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

সাইফ ও নাঈমের ওই রান ছিল ১৬ ইনিংসে। এনামুল ছাড়িয়ে যান ১২ ইনিংসেই। এক হাজার রান করলেন তিনি পরের ইনিংসেই।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার অবশ্য ১০ বছরও হয়নি এখনও। একসময় দেশের মূল ক্রিকেটের আকর্ষণই ছিল ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট। বরাবরই এটি ছিল দেশের ক্রিকেটের মূল প্রতিযোগিতা। তবে বিসিবির উদ্যোগের অভাবে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পেতে দেরি হয়ে যায় অনেক। ২০১৩ সালের আসর থেকে লিস্ট ‘এ’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে এই লিগ।

লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার আগে অনেক রেকর্ডই সংরক্ষিত নেই এই লিগের। বিশেষ করে সত্তর, আশি, নব্বইয়ের দশকের বেশির ভাগ পরিসংখ্যানই নেই। তাই সব মিলিয়ে রেকর্ডটি কার, তা বলা মুশকিল। রেকর্ডে থাকা পরিসংখ্যান বলছে, ২০০১ সালের লিগে মোহামেডানের কেনিয়ান ক্রিকেটার স্টিভ টিকোলো ১৬ ইনিংসে করেছিলেন ১ হাজার ২২৭ রান। সেই যুগেই তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১১২.২৫, গড় ৯৪.৩৮।

এছাড়া ওই লিগেই সিটি ক্লাবের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ওয়াসিম নাঈম করেছিলেন ৯৯০ রান, বাংলাদেশ বিমানের পাকিস্তান ব্যাটসম্যান মাজিদ সাঈদ করেছিলেন ৯১২। ২০১১-১২ লিগে ১৬ ইনিংসে ৯৫১ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।

এছাড়াও আগে নানা সময়ে অনেকের দারুণ সব মৌসুমের কথা জানা যায়। তবে সংরক্ষিত আছে সেসবের সামান্যই।