বাবা তো অবাক! এতটুকুন মেয়ে কথার পিঠে কথা বলা শিখলো কোত্থেকে?
মানুষ মাত্রই তর্ক করে। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে মানুষের এ এক সহজাত প্রবৃত্তি ৷ রাস্তার
ধারের টং দোকানের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সংসদ ভবনের অধিবেশন, সবাই তর্ক করে চলেছে।
তবে এই তর্কে যখন যুক্তি যুক্ত হয় তখন তা হয়ে ওঠে এক শিল্প। এই শিল্পের নাম ‘বিতর্ক’।
শিল্প হিসেবে বিতর্ক বেশ নবীনই বলা চলে। তবে এই পারফর্মিং আর্ট
রুচিশীল সমাজে হালআমলে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। বিতর্ক বলতে প্রথমেই আমাদের চোখে
বিটিভির চিরচেনা আবহ ভেসে ওঠে। একজন মডারেটরের দুপাশে পক্ষ বিপক্ষ, তিনজনের ছোট্ট
দল, ঘণ্টার টুংটাং সতর্ক সংকেত, যুক্তি খণ্ডন- ক্ষুদ্র পরিসরে বিতর্ক আয়োজন এমনই। তবে
বিতর্কের ব্যাপ্তি আরও অনেক অনেক বড়, সে বিষয়ে পরে বলছি।
প্রথমে বলি, বিতর্ক কী?
‘বিতর্ক’ শব্দটিকে আমরা যদি একটু
ভেঙে চিন্তা করি তবে পাই- বিশেষ যে তর্ক। যেখানে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যুক্তি প্রয়োগের
মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন এবং প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তর্কের কথা আগেই বলেছি। তর্কে আবেগ,
উত্তেজনা, আক্রমণ, দ্বন্দ্ব, অন্ধবিশ্বাস থাকতে পারে। বিতর্ক বিশেষ এ কারণেই এখানে
কোন অন্ধবিশ্বাসের স্থান নেই, বরং আছে প্রশ্ন করার সুযোগ।
বিতর্কে আবেগের স্থান সীমিত এবং সেই আবেগেরও কার্যকারণ আছে।
এখানে উত্তেজনা আছে, সেই উত্তেজনা পরিমার্জিত৷ শব্দ দিয়ে আক্রমণ আছে, কিন্তু সেই আক্রমণের
মাঝেও শিল্প আছে, বোধ আছে। বিতর্কে দলে দলে দ্বন্দ্ব আছে, কিন্তু সেই দ্বন্দ্বের মাঝে
আছে পরমতসহিষ্ণুতা। খেলার মতো বিতর্কেও হার জিত আছে, কিন্তু এই জয় পরাজয় ব্যক্তি কিংবা
দলের নয় বরং যুক্তির জয়।
ভলতেয়ার বলেছিলেন, ‘তোমার
মতের সঙ্গে আমি একমত না হতেই পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি জীবন
দিতে পারি’। মূলত এটিই বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য। আর এখানেই বিতর্কের ব্যাপ্তি।
তোমরা খেয়াল করে দেখবে আমাদের সমাজে বর্তমানে পরমতসহিষ্ণুতার বড্ড অভাব। কেউ কারও কথা
শুনতে রাজি নয়। কারও মতের প্রতি কারও শ্রদ্ধা নেই। সবাই নিজের মত প্রতিষ্ঠায় মরিয়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে এ ঘটনার অহরহ প্রমাণ তোমরা পাবে।
কিন্তু বিতর্ক আমাদের পরমতসহিষ্ণু হতে শেখায়। অন্যের কথা মনোযোগ
দিয়ে শোনা বিতার্কিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। একজন বিতার্কিককে বক্তব্য রাখতে হয় পাঁচ মিনিট
আর পক্ষ প্রতিপক্ষ মিলে বক্তব্য শুনতে হয় পঁচিশ মিনিট। বলা হয়ে থাকে সৃষ্টিকর্তা আমাদের
দুটি কান ও একটি মুখ দিয়েছেন দ্বিগুণ শোনা ও অল্প অর্থবহ কথা বলবার জন্য। আর বিতর্কের
মঞ্চে এই চর্চাটা হয় সবচেয়ে বেশি। আর এই চর্চা মঞ্চ ছাড়িয়ে ব্যক্তিজীবন, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়
ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকা উচিত।
বিতর্ক কেন অন্যান্য
সহশিক্ষা কার্যক্রম থেকে আলাদা?
পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা যে সব সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিই তার
মাঝে গান, নাচ, চিত্রাঙ্কন, খেলাধুলা, অভিনয়, আবৃত্তি, বিতর্ক অন্যতম। অন্যান্য সহশিক্ষা
কার্যক্রমগুলোতে ঈশ্বর প্রদত্ত গুণের প্রসঙ্গ তোলেন অনেকে। যেমন, গানের ক্ষেত্রে জন্ম
থেকেই অনেকে দরাজ কণ্ঠের অধিকারী হন, খেলাধুলার সাথে শারীরিক সুস্থতা ও গঠনের একটা
যোগসূত্র আছে। তবে এই গুণগুলো থাকলেই হয় না, এর সাথে গুরুমুখী শিক্ষা, নিয়মিত চর্চার
সম্মিলনেই একমাত্র শিল্পের বিকাশ ঘটে।
বিতর্ক এমন একটি পারফর্মিং আর্ট যেখানে ঈশ্বর প্রদত্ত গুণের
ভাগ সবচেয়ে সামান্য। যুক্তিচর্চাই এই শিল্পের একমাত্র হাতিয়ার। আর এই শিল্পে গুরু?
তা তো বিশ্বজোড়া পাঠশালা। পৃথিবীর প্রতিটি শিল্পের সঙ্গে অর্থের একটা সরাসরি সংযোগ
আছে। বিতর্কই সম্ভবত একমাত্র শিল্প যা বিনামূল্যে শেখা যায়। তবে বিতর্কের পেছনে অর্থ
ব্যয় করতে না হলেও একটা জিনিস অঢেল ব্যয় করতে হয়, তা হলো- সময়। জীবনের সুন্দর সময়ের
এত ফলপ্রসূ ব্যবহার তুমি খুব কম ক্ষেত্রেই পাবে তা আমি হলফ করে বলতে পারি।
পড়াশোনার পাশাপাশি তুমি বিতর্কচর্চার জন্য পড়বে বৈশ্বিক রাজনীতি,
চলমান অর্থনীতি, শিল্প-সাহিত্য, দর্শন, প্রতিদিনের পত্রিকা, গুণীজনের বইসহ আরও কত কী।
বিতর্কচর্চার কোন শেষ নেই। এই প্রস্তুতি একটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি মুহূর্তে নিজেকে
আপডেট আর আপগ্রেড করার এই মজার খেলার জন্য তোমাকে আলাদা কোন স্কুলে ভর্তি হতে হবে না।
নিজের স্কুল কলেজেই বিতর্কচর্চার আয়োজন পেয়ে যাবে। যদি তোমার স্কুলে সেই আয়োজন না থাকে
আগ্রহী বন্ধুরা মিলে শিক্ষকের সহায়তায় খুলে ফেলতে পারো ‘বিতর্ক ক্লাব’।
কেন করবো বিতর্ক?
বিতর্ক করার জন্য সবচেয়ে সুন্দর সময় হচ্ছে কিশোর বয়স। এই বয়স
থেকেই যারা বিতর্ক চর্চা শুরু করে তাদের মাঝে অন্যের মতামত গ্রহণ করবার একটি গুণ গড়ে
ওঠে। পেশীর জোরে নয়, তুমি বলিয়ান হবে যুক্তির জোরে।
তাছাড়া মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, আর
পড়াশোনাও কিন্তু একটা অভ্যাস। কিশোর বয়সেই
যদি তুমি পড়ার বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের পড়াশোনা করতে থাকো তোমার জ্ঞানতৃষ্ণা
অনেক বেড়ে যাবে৷ আর বইয়ে পড়া জ্ঞান ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য বিতর্কের চেয়ে সুন্দর প্ল্যাটফর্ম
আর কিইবা হতে পারে৷ বিতর্ক তোমাকে চিন্তা করতে শেখাবে, প্রশ্ন করতে শেখাবে। তুমি হয়ে
উঠবে প্রত্যুৎপন্নমতি।
মুখস্থবিদ্যার ছত্রছায়া থেকে বের হওয়ার একটা সুন্দর পথ বিতর্ক।
শুধু তাই নয় বিতর্ক তোমাকে নানা বয়সের, ভিন্ন চিন্তার বন্ধু গড়ে দেবে। তোমার মাঝে
নেতৃত্বের গুণ, দলনেতাকে মান্য করার গুণ, দলীয় ছন্দ ধরে রাখার গুণের বিকাশও তোমার
অজান্তেই ঘটে যাবে। চায়ের আড্ডায় পরনিন্দা, পরচর্চার জায়গায় দেখবে আড্ডার বিষয় হয়ে
উঠছে দর্শন, সিনেমা ও খেলাধুলা। ভিন্নমতের বন্ধুর সঙ্গে তোমার বাকবিতণ্ডা হবে, কিন্তু
আড্ডা শেষে তোমরা চায়ের বিলটা ভাগাভাগি করবে। এই যে সহাবস্থান তা বিতর্ক আমাদের খুব
সুন্দর করে শেখায়।
বিতর্ক আছে নানা ধরনের
শুরুতেই বলেছিলাম টেলিভিশন বিতর্কের কথা। বিটিভিতে আমরা যে বিতর্ক
দেখে অভ্যস্ত তা সনাতনি ধারার বিতর্ক। এছাড়া নানা ধরনের বিতর্ক এখন জনপ্রিয়তা লাভ করছে,
তার মাঝে সংসদীয় বিতর্ক ও ইংরেজি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিতর্ক অন্যতম। সংসদীয় বিতর্ক
যেন ছোট্ট একটা ছায়া সংসদ যেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন, স্পিকার থাকেন, বিষয়ভিত্তিক
মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সক্রিয় বিরোধী দল থাকে। এখানে বক্তব্যের মাঝে প্রশ্ন
করবার সুযোগ আছে৷ আছে ভুল বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করবার সুযোগ। মাতৃভাষার পাশাপাশি
ইংরেজি ভাষার চর্চা বাড়াতে ইংরেজি বিতর্কের জুড়িমেলা ভার।
মূলধারার এসব বিতর্ক ছাড়াও আছে বারোয়ারি বিতর্ক, রম্য বিতর্ক,
প্ল্যানচেট বিতর্ক, জুটি বিতর্ক আরও কত কী! বিভিন্ন আয়োজনে এসব বিতর্কও ব্যাপক সাড়া
ফেলছে। ভেবে দেখো তো প্ল্যানচেট করে মঞ্চে প্রীতিলতা কিংবা বঙ্গবন্ধুর আত্মা যখন নেমে
আসবে তাকে কী কী প্রশ্ন তুমি করতে? শুধু যে কালজয়ী চরিত্রই পৃথিবীর মাটিতে নেমে আসে
তা তো নয়। ইতিহাসকে যারা রক্তাক্ত করেছে সেইসব আত্মাও আসে কথা বলতে- মীর জাফর থেকে
ইয়াহিয়া খান। এখানেই বিতর্ক আমাদের পরমতসহিষ্ণুতা শেখায়৷ অন্যের আঙ্গিকে চিন্তা করতে
শেখায়৷
বিতর্ক যে শুধু কাটখোট্টা আলোচনা করে তা কিন্তু নয়। যুক্তির
মাঝেও রসবোধ আছে, শিল্পিত সেই রসবোধের সন্ধান পেতে তোমাকে দেখতেই হবে বিতর্ক। যুক্তিতর্কের
ঊর্ধ্বে কিছু ব্যাপার থাকে আমাদের পৃথিবীতে। আবেগ অনুভূতির জায়গা বিতর্কের মঞ্চে একদমই
নেই এ বক্তব্য ভুল। অকৃত্রিম আবেগ, যুক্তিরও পরে যে কথা, যে কথা সমাজে ট্যাবু সেইসব
কথা বলবার জায়গা করে দেয় বারোয়ারি বিতর্ক। যেখানে বাঁধাধরা কোন নিয়ম নেই। সব বেড়াজাল
ছিঁড়ে তুমি নিজেকে যেকোন চরিত্রে, যেকোন ভূমিকায়, যেকোন প্রেক্ষাপটে বর্ণনা করতে পারো।
বারোয়ারি বিতর্ক একইসঙ্গে আবৃত্তি, অভিনয়, বিতর্ক, সাহিত্যের সমন্বয়। এখানে অভিনয় আছে
কিন্তু তা শুধুই কণ্ঠে। এখানে ছবি আঁকার ক্যানভাস আছে, কিন্তু তা দৃশ্যপট রচনায়। এখানে
তুমি একজন গল্পকার। যে গল্পের চরিত্রগুলো তোমার নিজের হাতে তৈরি কিংবা জীবন থেকে নেওয়া।
একটুখানি গপ্পো,
আমার গল্পই বলি…
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ১২তম জাতীয় বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতার
আসর। নিজেকে ছোট্ট একটা এলিয়েন হিসেবে সেদিন আমি মঞ্চে উপস্থাপন করেছিলাম। স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যে বাংলাদেশ বেড়াতে আসে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে- কখনও
শহীদ মিনার, কখনও স্মৃতিসৌধ কিংবা কখনও পথশিশু, কখনও বঙ্গোপসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে অবাক
বিস্ময়ে সে প্রশ্ন করে। এখনও রামপুরা বিটিভি ভবনে গেলে আমাকে ‘বরিশালের ছোট্ট এলিয়েন’ বলেই
সম্বোধন করেন বিটিভির কলাকুশলীরা। এই বিতর্কে আমি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে শিক্ষামন্ত্রীর
হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সুযোগ পাই। তখন আমি কলেজের শেষবর্ষের ছাত্রী।
পুরস্কার বিতরণের দিন ছিল আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা।
কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো? আমার ওই বিশেষ দিনটিতে আমি যেন অংশ নিতে পারি সেজন্য
আমার কলেজের প্রাধ্যক্ষ পুরো কলেজের পরীক্ষা একদিন পিছিয়ে দিয়েছিলেন। অর্জনটা আমার
ব্যক্তিগত হলেও আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটাকে অনেক গৌরবের মনে করেছিলো। আমি সেদিন একহাতে
পুরস্কার আর অন্য হাতে প্রাণিবিদ্যা বই নিয়ে বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিয়ে কীর্তনখোলার তীরে
এসে আমার এইচএসসি প্রিটেস্ট দিয়েছিলাম। সর্বোচ্চ নম্বরও পেয়েছিলাম। এই গল্পটা বলবার
একটাই কারণ, বিতর্ক আমাদের শুধু কাঠ কিংবা প্লাস্টিকের এক টুকুরো ট্রফি এনে দেয় না।
তার সঙ্গে আরও অনেককিছু এনে দেয়।
তাতে কখনও থাকে বন্ধুত্ব, কখনও নিজ প্রতিষ্ঠানকে জিতিয়ে আনবার
আনন্দ, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব, কখনও বারবার হেরে যাওয়ার মন খারাপ, আবার
চেষ্টা করার প্রত্যয়৷ আর যদি বিতর্ক সংগঠনের সংগঠক হও তবে নতুন বিতার্কিক তৈরি করার,
বিতর্ক উৎসব আয়োজন করার মতো আনন্দও তোমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমার বিদ্যামন্দির থেকে
যে সম্মান, উৎসাহ আর ভালোবাসা আমি পেয়েছি তা পৃথিবীর কোন পুরস্কারের পাল্লায় মাপা সম্ভব
নয়। আমার জীবনের সেরা বন্ধুগুলোও এই বিতর্ক করতে এসেই পাওয়া।
আড্ডা, বন্ধুত্ব, মুক্তবুদ্ধি চর্চা, পরমতসহিষ্ণুতার পসরা সাজিয়ে
বিতর্ক অঙ্গন অপেক্ষা করছে তোমার জন্য৷ তবে আর দেরি কেন? দেখা হবে কথার দ্বৈরথে…
লেখক পরিচিতি: প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগ, নোয়াখালী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক বিতার্কিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কিডজ পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |