স্থানীয় সময় সোমবার রাত দুপুরে (প্রায় ১টা ৪০ মিনিট) প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল বারমানজি এলাকার ডেলাফোর্ড রোডের ওই বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ।
বিবিসি জানিয়েছে, সেখানে ষাটোর্ধ্ব একজন নারী ও একজন পুরুষ এবং ত্রিশোর্ধ্ব ও চল্লিশোর্ধ্ব দুই নারীকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিশোর্ধ্ব আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে তারা। এই পাঁচ জনই পরস্পরের পরিচিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ষাটোর্ধ্ব নারীর নাম ডলেট হিল বলে জানিয়েছেন তার ভাতিজি ভেনেসিয়া রিড।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস (এলএএস) জানিয়েছে, রাত ২টা ৭ মিনিটে ডাক পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তারা।
“আমরা ঘটনাস্থলে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স, দুটি ফাস্ট রেসপন্স ইউনিট, দুই জন ইনসিডেন্ট রেসপন্স কর্মকর্তা, দুই জন অভিজ্ঞ চিকিৎসা কর্মী ও একজন টিম লিডার পাঠাই। অন্যান্য জরুরি বিভাগরে সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে নিবিড়ভাবে কাজ করে আমাদের দল।
“দুঃখজনকভাবে, আমাদের চিকিৎসাকর্মীদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও ঘটনাস্থলেই চার আহতের মৃত্যু হয়। জরুরিভিত্তিতে আরেক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়,” বলেছে এলএএস।
যে ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে আর যে ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তারা একই ব্যক্তি কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি এলএএস। তবে ওই বাড়িতে এই পাঁচ জনই ছিলেন বলে জানিয়েছে তারা।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের গোয়েন্দারা ও পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এ ঘটনায় লন্ডনের মেয়র সাদিক খান গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
গত বছর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ ছুরিকাঘাতে খুনের ৭৯টি ঘটনার তদন্ত শুরু করে যাদের মধ্যে ২৭ জন কিশোর বয়সী।