কিইভের আগে মস্কোয় যাওয়া নিয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ক্ষোভের মধ্যেই তিনি মঙ্গলবার এ সফর করলেন।
সেখানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেইন নিয়ে ‘খোলাখুলি’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুতেরেস।
একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে এও বলেছেন যে, ‘শান্তির বার্তাবাহক’ হিসাবেই তিনি রাশিয়ায় এই সফর করছেন।
বিবিসি জানায়, সফরকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে গুতেরেসের।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই হবে পুতিনের সঙ্গে গুতেরেসের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এ বৈঠকের আগে ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি করার ডাক দিয়েছেন গুতেরেস।
মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেইনে মানুষের জীবন বাঁচানো এবং দুর্ভোগ লাঘব করাই তার কর্মসূচি এবং উদ্দেশ্য।
গুতেরেস বলেন, “হাজারো বেসামরিক মানুষ জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। আবার অনেককেই গোলযোগপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি জাতিসংঘের তহবিল পুরোপুরি কাজে লাগানো এবং ইউক্রেইনের অবরুদ্ধ মারিউপোল নগরী থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে জানান।
ইউক্রেইনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের একাধিক খবরেও উদ্বেগ প্রকাশ করে গুতেরেস বলেছেন, এই সব ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান করা হয়েছে।
ইউক্রেইন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিইভ থেকে পিছু হটে যাওয়ার সময় নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ করেছে। তবে রাশিয়া বলছে, শান্তি আলোচনা বিপথগামী করা এবং মস্কোর ওপর আরও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অজুহাত খাড়া করতে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেছেন, “আমরা কার্যকর সংলাপ, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সঠিক পরিবেশ সৃষ্টির পথ খুঁজে পেতে অধীর আগ্রহী।”