বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক
(বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান এ কথা জানান।
সেতুর খুঁটির সঙ্গে
কয়েকবার ফেরির ধাক্কা লাগার পর গত ১৮ অগাস্ট থেকে এই পথে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ফেরি
চলাচল বন্ধ হয়। পরে দিনের বেলায় চালু হলেও রাতে ফেরি চলাচল বন্ধই থাকে।
তবে জরুরি যানবাহন
নিয়ে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে দুইটি ফেরি
চলাচল করত।
আশিকুজ্জামান জানান,
“ঈদে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনা লাঘবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) রাতে
চলাচল সফল হলে বুধবার থেকে এই নৌপথে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করবে।
“ফেরিগুলো শিমুলিয়া
থেকে বাংলাবাজার যাবে পদ্মা সেতুর ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটির পাশ দিয়ে; আর বাংলাবাজার
থেকে শিমুলিয়া আসবে সেতুর ১৯,২০ ও ২১ নম্বর খুঁটির পাশ দিয়ে।”
এদিকে, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দিতে
২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মাঝিরকান্দিতে দ্বিতীয় ফেরিঘাট চালু হচ্ছে বুধবার।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে পারাপার নিশ্চতকরণে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে মঙ্গলবার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা হয়
বিআইডব্লিউটিএ নির্মিত
নতুন এই ঘাট চলাচল উপযোগী হওয়ায় বুধবার থেকে যানবাহন উঠানামা করবে বলে বিআইডব্লিউটিসি
জানিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক
(বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান আরও জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি
রুটে চলাচলরত ফেরির বহরে ফেরি ‘বেগম রোকেয়া’ মঙ্গলবার যুক্ত হয়েছে।
এছাড়া ঈদে ঘরমুখো মানুষের
পদ্মা পারাপার নির্বিঘ্ন করতে বুধবার থেকে ‘ফেরি ফরিদপুর’ বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে
বলে তিনি জানান।
এদিকে, শিমুলিয়া থেকে
বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌ-পথে রাতে লঞ্চ চলাচলের সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
আশিকুজ্জামান জানান,
এই দুই নৌ-পথে দুই ঘণ্টা সময় বৃদ্ধি করে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। বুধবার
থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এ চলাচল বলবৎ থাকবে। এর আগে এই দুই রুটে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত
৮টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করত।
ঈদযাত্রা: শিমুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা সভা
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে
পারাপার নিশ্চিতকরণে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শিমুলিয়া ড্রেজার বেইজ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের
আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল।
সভায় বক্তারা ঈদে ঘরমুখো
যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বেশকিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন।
এগুলো হলো বৃহস্পতিবার
(২৭ এপ্রিল) থেকে ফেরিতে পিকআপ পারাপার বন্ধ রাখা, ফেরির সিরিয়াল ঠিক রেখে যানবাহন
পারপার করা, ফেরিঘাট এলাকা, ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের মাইকিং করে সতর্কতামূলক বার্তা
প্রচার করা, ফেরিঘাট থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা, যানবাহনগুলোতে
যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা।
এছাড়া দুর্ঘটনা হলে
উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমকে প্রস্তুত রাখা এবং মহাসড়কে রেকারের ব্যবস্থা রাখার উপর গুরুত্বারোপ
করা হয়।
জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট
শিলু রায়ের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, লৌহজং
ইউএনও মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের,
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম সফিকুল ইসলাম, শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা
সাহাদাত হোসেন, শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর জিয়াউল হায়দারও বক্তব্য
রাখেন।