ক্যাটাগরি

সুদীপ্ত হত্যা: তৃতীয়বারের মত পেছাল অভিযোগ গঠন

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আমিরুল
ইসলামের আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারিত থাকলেও এক আসামির অনুপস্থিতির কারণে তা
হয়নি।

কারাগার থেকে ওই আসামিকে আদালতে আনা হয়নি বলে অভিযোগ গঠনের নতুন তারিখ
২০ জুন নির্ধারণ করেছেন বিচারক বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী শৈবাল দাশ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আইন অনুসারে সব আসামির উপস্থিতিতে
অভিযোগ গঠন করতে হয়। আজ অন্য আসামিরা হাজির থাকলেও হাজতে থাকা একজন আসামিকে হাজির করা
হয়নি। তাই অভিযোগ গঠন হয়নি।”

সুদীপ্ত হত্যা: বিচারের অপেক্ষায় ৩ বছর

বিচার কবে পাব, আর্তি সুদীপ্তের বাবার
 

২০১৭ সালের অক্টোবরের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৪ আসামির
মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৭ জনকে জামিন দেয় আদালত। মঙ্গলবার আদালতে
জামিনে থাকা সব আসামি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২২ মার্চ বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং তার আগে ১৯ জানুয়ারি আসামিরা
সময়ের আবেদন করা দুই দফায় অভিযোগ গঠন পিছিয়ে যায়।

সুদীপ্তর বাবা ও মামলার বাদী মেঘনাথ বিশ্বাস বলেন, “আজকেও আদালতে গিয়েছি,
কিন্তু কিছু হয়নি। আমি বোধহয় বেঁচে থাকতে এই মামলার বিচার দেখেও যেতে পারব না। আজ অভিযোগ
গঠনের তারিখ থাকলেও তা হয়নি। আবার জুনে তারিখ দেওয়া হয়েছে।

“কোনোভাবে কিছু করতে পারছি না। এর আগেও দুবার ডেট ছিল। আপনারা একটু দেখেন,
আমি বিচারটা যেন পাই। আমার কোনো আয় রোজগার নেই। মামলার খরচ চালানোও খুব কঠিন।”

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে
খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে।

পরে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনকে আসামি করে ২০২১ সালের
১ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই)।

সুদীপ্ত হত্যার অভিযোগপত্র গ্রহণ

ফেইসবুক পোস্ট নিয়েই সুদীপ্ত খুন, সন্দেহ ঘনিষ্ঠদের
 

সুদীপ্ত হত্যা: অভিযোগপত্রে আসামি ২৪, ‘নির্দেশদাতা’ আ. লীগ নেতা মাসুম
 

অভিযোগপত্রে নগরীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাছুমকে হামলার ‘নির্দেশদাতা’ ও
আইনুল কাদের নিপুকে ‘নেতৃত্বদানকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

আসামিদের মধ্যে ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। তাদের মধ্যে চারজন আদালতে জবানবন্দি
দিয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে ১৭ জন জামিন নেন।

২০১৯ সালের ১২ জুলাই গ্রেপ্তার মিজান হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে
মাসুমের নাম বলার পর গ্রেপ্তার হন মাসুম। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি আবার জামিনে মুক্ত
হন লালখান বাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম।