ক্যাটাগরি

স্বাস্থ্যে বাজেটের ৮% বরাদ্দের প্রস্তাব

মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ‘ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ প্রস্তাব করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তিনি আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য
খাতে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ থেকে ৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দেন।

সাবেক গভর্নর বলেন, “বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া
হয়, তা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ এবং মোট বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের গড় বরাদ্দ জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।”

স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, চলতি বাজেটেও যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা অপ্রতুল হওয়ার পরও ওই বরাদ্দ ব্যয় করতে পারছে না।

চলতি অর্থবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ১৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। কিন্তু ওই ব্যয়ও ঠিকমত বাস্তবায়ন করতে না পারায় পরে তা প্রায় ১৯ শতাংশ কমিয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

বরাদ্দ হওয়া অর্থ ব্যয় করতে না পারাকে স্বাস্থ্য খাতের ‘সবচেয়ে বড় দুর্বলতা’ উল্লেখ করে
তিনি বলেন, “এ জন্য  প্রয়োজনীয় জনবল বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যেসব মন্ত্রণালয় বেশি বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে পারে, তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে।”

সংলাপে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়াতে আলাদা স্বাস্থ্য ক্যাডার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিদ্যমান বাস্তবতায় দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বীমা সম্ভব নয় বলে মত দেন বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেন।

তিনি এ শ্রেণির নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরির ওপর জোর দেন।

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত প্রান্তিক মানুষের ওপর থেকে ব্যয়ের চাপ কমাতে সরকারকে বিনা মূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে ওষুধ বিতরণের পরিমাণ বাড়ানোর
আহ্বান জানান।

সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।