ক্যাটাগরি

২০ সেঞ্চুরি আর ১০ হাজার রানে সবার আগে তামিম

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে বিকেএসপিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮১ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন তামিম। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার ২০তম সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাটিং কীর্তির অনেকগুলো ‘প্রথম’ যার হাত ধরে রচিত হয়েছে, সেই তামিম ২০ সেঞ্চুরিতেও বাংলাদেশের প্রথম। এই ইনিংসের পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানও পেরিয়ে যান দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই মাইলফলকেও তিনি বাংলাদেশের প্রথম।

১০ হাজারের ৯৭ রান পেছনে থেকে এই ম্যাচ শুরু করেছিলেন তামিম। ম্যাচের শুরুটা একটু ধীরেসুস্থে করেন তিনি। প্রথম ৩১ বলে রান ছিল ১৯। পরে রানের গতি বাড়িয়ে ফিফটি করেন ৫৭ বলে। এরপর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পরের ফিফটি করতে লাগে স্রেফ ২০ বল। ৭৭ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। ৯৫ রান থেকে নাসুম আহমেদকে ছক্কায় উড়িয়ে ২০ সেঞ্চুরি আর ১০ হাজার রানে পা রাখেন এক শটেই। পরের বলে আরেকটি ছক্কায় উদযাপন করেন জোড়া মাইলফলক।

তামিমের ২০ সেঞ্চুরির ১৪টিই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে করেছেন দুটি। বাকি চারটি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিভাগ ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরির রেকর্ডে তামিমের কাছাকাছিও নেই বাংলাদেশের কেউ। ১৫ সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে প্রাইম ব্যাংকে তামিমের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী এনামুল হক।

তামিমের ২০ সেঞ্চুরির ম্যাচেই ১৫তম সেঞ্চুরিটি উপহার দেন এনামুল। দুজনের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ২২৯ রান কোনো উইকেট না হারিয়েই পেরিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।

এই দুজনের পর সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি মুশফিকুর রহিমে। ১৩ সেঞ্চুরি নিয়ে তিনি আছেন তালিকার তিনে, ১২ সেঞ্চুরিতে যৌথভাবে চারে নাঈম ইসলাম ও লিটন কুমার দাস। পঞ্চম সর্বোচ্চ ১১ সেঞ্চুরি যৌথভাবে মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইমরুল কায়েসের।

রানের তালিকায় তামিমের থেকে খুব দূরে নেই মুশফিকুর রহিম। এ দিনই প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ১৬ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিক। তার রান ৯ হাজার ৭৭৬।

একই দিনে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ২৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের পথে সাকিব আল হাসান পেরিয়ে গেছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৮ হাজার রান। তার রান এখন ৮ হাজার ৪৮, মাহমুদউল্লাহর রান ৭ হাজার ৭১৮।