আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব
মঙ্গলবারও প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী
প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ জুন নতুন দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রাজাবাজারের
ভাড়া ফ্ল্যাটে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সাগর তখন কাজ করতেন
মাছরাঙা টেলিভিশনে, আর রুনি এটিএন বাংলায়।
সাগর-রুনি হত্যার পর ওই ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা
নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের রোমান।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ অন্য
আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল
মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র
পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই
থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে
ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার
র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক
আলামত সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, নিহতদের পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার
জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে পাঠায় সংস্থাটি। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। হত্যা রহস্য উদঘাটন
হয়নি ১০ বছরেও।