গত
২২ এপ্রিল রাজস্থানের বিপক্ষে দিল্লির লড়াইয়ের শেষ ওভারে ছড়ায় চরম উত্তেজনা। ২২৩ রান
তাড়ায় জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৬ ছক্কার প্রয়োজন ছিল দিল্লির। ওবেড ম্যাককয়ের করা ওভারের
প্রথম তিন বলেই ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন রভম্যান পাওয়েল।
তৃতীয়
বলটি ছক্কা হলেও বিপত্তি বাঁধে বলের উচ্চতা নিয়ে। ফুল টস বলটি ‘নো’ ছিল বলে আম্পায়ারদের
কাছে দাবি করেন উইকেটে পাওয়েলের সঙ্গী কুলদিপ যাদব। একই দাবি নিয়ে যোগ দেন পাওয়েলও।
তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত পাঠাতে বলেন তারা। কিন্তু মাঠের আম্পায়াররা তাতে কান
দেননি।
এতেই
দিল্লি ডাগআউটে ছড়ায় উত্তেজনা। অধিনায়ক রিশাভ পান্তকে দেখা যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
দেখাতে। দুই ব্যাটসম্যানকে হাতের ইশারায় মাঠও ছাড়তে বলেন তিনি। এক পর্যায়ে দিল্লির
সহকারী কোচ প্রাভিন আমরে মাঠে ঢুকে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। বাইরে থেকে কারো মাঠে
ঢুকে পড়া কোনোভাবেই নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
এই
ঘটনায় শাস্তি পেতে হয়েছে আমরে ও পান্তকে। তাদের ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা করার সঙ্গে
আমরেকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
দা
আইসিসি রিভিউয়ের সঙ্গে এ ঘটনা নিয়ে কথা বলার সময় লঙ্কান কিংবদন্তি জয়াবর্ধনে বলেন,
তৃতীয় আম্পায়ার ও মাঠের আম্পায়ারের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ দেখতে চান তিনি।
“এটা
এমন কিছু যেখানে সামনে এগিয়ে যেতে আমাদের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
তৃতীয় আম্পায়ারের এগুলো দেখার এবং মাঠের আম্পায়ারকে ডেলিভারি বৈধ কি-না, পরীক্ষা করে
দেখতে বলার কোনো পথ আছে কি?”
“(কোনো
বিতর্কিত কারণে) খেলা বন্ধ হয়ে গেছে এবং কেউ একজন মাঠে ঢুকে পড়েছে, এসব দেখা খুবই হতাশার।
তবে আমি বিশ্বাস করি, (দিল্লি-রাজস্থান ম্যাচে) শেষ ওভারে আবেগ তাড়িত হয়েই ওটা হয়ে
গেছে। নিয়ম বলছে, মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে এমন কিছু পরীক্ষা করে দেখার
জন্য পাঠাতে পারেন না।”
ম্যাচের
পর দিল্লির সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন বলেছিলেন, আমরে ও পান্তের আচরণে সমর্থন নেই তার।
একই অবস্থান জয়াবর্ধনেরও।
“ক্রিকেটের
চেতনা ও খেলাটি এগিয়ে নিতে, একজন খেলোয়াড় বা কোচের মাঠে ঢুকে পড়ার কোনো সুযোগ
নেই। আইপিএলে আমরা কোচরা স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে মাঠে ঢুকতে পারি। কোচ বা অন্য
কারো মাঠে যাওয়ার এটাই একমাত্র সময় থাকা উচিত।”
জয়াবর্ধনে
জানান, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে মুম্বাই।
“আমরা
টেলিভিশনে এটা দেখেছি… বেশিরভাগ এক সঙ্গে বসেই দেখছিল। এরপর আমরা এ নিয়ে কথা বলি। ডাগ
আউটে আমরাও সম্ভবত একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতাম। তবে মাঠে ঢুকে যাওয়ার কোনো সুযোগ
আসলে নেই।”
“যা
কিছু হয়েছে, তা হওয়া উচিত নয়। আমি নিশ্চিত, যা ঘটেছে তার জন্য রিশাভ ও আমরে অনুতপ্ত।
আমার মনে হয়, রিশাভ বলেছে, আবেগের জন্য এটা হয়েছে। তাকে আমাদের ‘বেনিফিট অব ডাউট’
দিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত।