ক্যাটাগরি

গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করে মালিকের কাছেই বিক্রি, গ্রেপ্তার ৭

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. এনামুল মোল্লা (৩৫), মো. এনামুল হক এনাম (৪৭), মো. বকুল চৌধুরী (২৪), শরিফ আহম্মেদ কালু (৪০), বিল্লাল হোসেন (২৮), মো. ইকবাল হোসেন পলাশ (৩৪) ও মো. ইকবাল খান (৩২)।

রাজধানীর পল্টন ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই যন্ত্রাংশসহ মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে মিণ্টু রোডের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, তারা পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ বেচা-কেনা করে আসছিল।

তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে তারা যে মালিকের পার্টস চুরি করে, দোকানদার সেই পার্টস পুনরায় উচ্চ দামে ঐ মালিকের কাছেই বিক্রি করে।

“কারণ অনেক গাড়ির নতুন পার্টস মার্কেটে আলাদাভাবে আমদানি করা হয় না বা কিনতেও পাওয়া যায় না।”

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে চোরাই যন্ত্রাংশ বিক্রি করে এমন সাতটি দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পল্টন স্কাউট মার্কেটে দুটি দোকান, মহাখালী জেবা টাওয়ারে তিনটি দোকান, ধোলাইখালে একটি দোকান এবং বারিধারা জে-ব্লকে একটি দোকান রয়েছে।

গ্রেপ্তাররা ‘কার প্লাস’ মার্কেটের কালু ও বিল্লাল, ‘স্কাউট মার্কেটের’ চুন্নু ও পলাশ, বারিধারার ইকবাল, মহাখালীর ‘জেবা’ মার্কেটের নাহিদ, পরাণ ও মামুনের কাছে এবং ধোলাই খালে চোরাই যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার  বলেন, “চোরাই পার্টস চুরির পর মুহূর্তেই চোরের ওস্তাদের মাধ্যমে তা পার্টসের দোকানে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দিতেন।”

তিনি জানান, তাদের নামে আগেও গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ কেনা-বেচার মামলা রয়েছে। তারা ৭ থেকে ৮ বছর ধরে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং জিপ গাড়ির ১২৪টি সাইড লুকিং মিরর, ১৯টি সাইড মিররের কভার, ১০৭টি লুকিং গ্লাসের কর্নার বিট, হ্যারিয়ার গাড়ির গ্রিল লোগো ২টি, কমপ্লিট মিরর ১২টি, এক্সিও প্রাইভেটকারের দরজার বিট ৩০টি, কমপ্লিট সাইড মিরর ১৮টি, বাম্পার ক্যাপ ৬ জোড়া এবং ২৬টি পেছনের ডালার বিট জব্দ করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।