আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে
খেলার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যাওয়ায় আপাতত লিগের শেষটা যতটা সম্ভব ভালো করার দিকেই মনোযোগ
রাংনিকের।
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে
৩৪ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ইউনাইটেড। পরবর্তী ম্যাচে
তাদের প্রতিপক্ষ ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা চেলসি। দুটি ম্যাচ কম খেলেছে স্ট্যামফোর্ডের
ব্রিজের দলটি।
৬০ ও ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে
চার ও পাঁচ নম্বরে আছে আর্সেনাল ও টটেনহ্যাম হটস্পার। দুই দলই খেলেছে ৩৩টি করে ম্যাচ।
শীর্ষ চারে থাকার লড়াইয়ে ক্ষীণ
সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে বাকি চার ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ইউনাইটেডের। কঠিন সে মিশনের
প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার চেলসির মুখোমুখি হবে রাংনিকের দল। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে অনেকটা
খর্ব শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে হবে ইউনাইটেডকে।
সংবাদ সম্মেলনে বুধবার রাংনিক
নিশ্চিত করেছেন, হাঁটুর চোটের কারণে অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুইয়ার ও শারীরিক অসুস্থতায়
উইঙ্গার জেডন স্যানচোকে পাবেন না তারা। ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান-বিসাকা খেলবেন কি-না,
তাও নিশ্চিত নয়।
আগে থেকেই মাঠের বাইরে আছেন এদিনসন
কাভানি, লুক শ, পল পগবা ও ফ্রেদ।
কঠিন পরিস্থিতিতে হাল না ছেড়ে
শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার প্রত্যয় রাংনিকের কণ্ঠে।
“আমাদের আরও চারটি ম্যাচ বাকি
আছে, পরের দুটি ম্যাচ ঘরের মাঠে এবং ম্যাচগুলো থেকে আমরা যতটা সম্ভব পয়েন্ট তুলে নেওয়ার
এবং জেতার চেষ্টা করব।”
“সেজন্য নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে
হবে আমাদের। চেলসি ভালো দল, কিন্তু আমরা জানি যে ভালো খেললে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)
আমাদের পক্ষে জেতা সম্ভব। আমি মনে করি না চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করার
কোনো অর্থ আছে।”
পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান নিয়ে না
ভেবে রাংনিকের চাওয়া যথাসম্ভব ভালোভাবে মৌসুম শেষ করা।
“আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। চারটি
ম্যাচ জিতলেও (শীর্ষ চারে থাকা) সেটা আমাদের হাতে নেই, আমাদের হাতে যা আছে তা হলো আমরা
কীভাবে খেলব, আমাদের পারফরম্যান্সের মান কেমন হবে। সম্ভাব্য সেরা অবস্থানে থেকে মৌসুম
শেষ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
ইউনাইটেড ও চেলসির ম্যাচটি ওল্ড
ট্র্যাফোর্ডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টায়।