বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনকে আরও অস্ত্র সহায়তা দেওয়া নিয়ে জার্মানির একটি বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোর বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে বার্লিন এই সিদ্ধান্ত জানাল।
জার্মানি দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ভারি অস্ত্র না পাঠানোর নীতি অনুসরণ করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেইনকে আরও সাহায্য করার জন্য জার্মান সরকারের ওপর চাপ ক্রমেই বেড়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করতে ইউক্রেইন আন্তর্জাতিক সহযোগীদের কাছে দ্রুত আরও ভারি অস্ত্র ও গোলাবারুদের আবেদন করে আসছে৷
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীকে আরও সহায়তার উদ্যোগ নিলেও জার্মানি এতদিন দ্বিধা ঝেড়ে ফেলতে পারেনি৷
পরে দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সরকার ইউক্রেইনকে ভারি অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর অঙ্গীকার করে।
এরপরই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার এক ঘোষণায় বলেছেন, “স্বাধীনতা এবং শান্তির জন্য ইউক্রেইনের সাহসী এবং গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে আমরা কীভাবে আরও সমর্থন জোগাতে পারি তার সম্ভাব্য সব পথই আমরা খুঁজে দেখব।”
দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির বিমানঘাঁটিতে উপস্থিত ৪০ টি দেশের প্রতিনিধিদের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিরক্ষা বৈঠকে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে ইউক্রেইনকে বিমান-বিধ্বংসী হাতিয়ার সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
এর মধ্যে জার্মানির মাটিতে ইউক্রেইনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পদক্ষেপও আছে।
জার্মানির গণমাধ্যমে সরকারের এমন উদ্যোগকে ‘ইউ-টার্ন’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং বিশেষত ইউক্রেইনের সরকারের কঠোর সমালোচনা এড়ানোর চেষ্টা নিয়েছে জার্মানি।