বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সংগ্রহ করা এসব রেল ইঞ্জিন উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের আর কদিন পরেই ঈদ। ঈদে আমাদের লোক চলাচল আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি আজকে যে নতুন লোকেমেটিভ চালু হচ্ছে, তাতে আমাদের দেশের মানুষ আরও ভালোভাবে ঈদের উৎসবে যোগ দিতে পারবে। নিজের আপন ঘরে ফিরতে পারবে। সেই সুবিধাটা হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটি ব্রডগেজ ও একটি মিটারগেজ কোচ সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ যেটা করা হয়েছে, আমি মনে করি জাতির পিতার যে অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বা বাঙালি জাতির জন্য সেটা আমাদের দেশের মানুষ আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।
বিটিভির ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি
১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরের ঘটনাপ্রবাহ মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস থেকেই জাতির পিতার নামটা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল, বাজানো যেত না।
“জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া যেত না। তার ছবিটাও দেখানো যেত না। এমনই একটা পরিবেশ ছিল। কিন্তু ইতিহাস আপন গতিতে ফিরে আসে। ইতিহাসকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সেটা আজ প্রমাণিত সত্য।
শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে শুধু বাংলাদেশে না, সমগ্র বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার অবদান এবং সেই সাথে সাথে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে।”
ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরের মাধ্যমে দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও কর্ম, বাংলাদেশের অভ্যুদ্যয়ের ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ইতিহাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।