ক্যাটাগরি

বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিল রাশিয়া

রাশিয়ার বৃহদ বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানিটি বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা তাসের।

বিবৃতিতে গ্যাজপ্রম বলেছে, “২৭ এপ্রিল থেকে শুরু করে ডিক্রিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে মূল্য পরিশোধ না করা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার বিষয়টি বুলগারগাজ ও পিজিএনআইজিকে অভিহিত করেছে গ্যাজপ্রম এক্সপোর্ট।”

রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, এপ্রিলে যে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে তার মূল্য ২৬ এপ্রিল কার্য দিবসের মধ্যে বুঝে পায়নি গ্যাজপ্রম এক্সপোর্ট; ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ডিক্রি অনুযায়ী এই মূল্য রুবলে পরিশোধ করার কথা ছিল।

বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ড ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের ট্র্যানজিট রাষ্ট্র হওয়ায় তৃতীয় দেশের উদ্দেশ্যে পাঠানো গ্যাসের যদি কোনো ‘অননুমোদিত গ্রহণের’ ঘটনা ঘটে সেইক্ষেত্রে যে পরিমাণ গ্যাস গ্রহণ করা হয়েছে ট্র্যানজিট সাপ্লাই থেকে তা কমিয়ে দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে সতর্ক করেছে গ্যাজপ্রম।

২৬ এপ্রিল গ্যাজপ্রম পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার আমদানিকারক কোম্পানি দুটিকে এক নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়, রুবলে মূল্য পরিশোধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২৭ এপ্রিল থেকে তাদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।

কোম্পানিটির ওই বিবৃতির পর ইউরোপে গ্যাসের মূল্য ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে কোথাও কোথাও প্রতি এক হাজার কিউবিক মিটার গ্যাসের মূল্য ১৩৭০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তারা।

২৩ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে আমদানি করা গ্যাসের মূল্য অবশ্যই রুবলে পরিশোধ করতে হবে অন্যথায় বিদ্যমান চুক্তি স্থগিত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এরপর থেকে রাশিয়া গ্যাস চুক্তির অধীনে ডলার বা ইউরোতে পরিশোধিত মূল্য গ্রহণ করবে না বলেও জানান তিনি। 

তবে এ পর্যন্ত রাশিয়ার গ্যাসের ইউরোপীয় ক্রেতাদের মধ্যে অল্প কয়েকটি দেশ তার প্রস্তাব অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ইউরোপের বার্ষিক জ্বালানির একতৃতীয়াংশ পূরণ করে রাশিয়ার গ্যাস। ইউক্রেইনে গত মাসে শুরু হওয়া আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার উপর যেসব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে গ্যাসের দাম রুবলে পরিশোধ করতে বলে তার জবাব দিয়েছে  মস্কো।

ইউক্রেইনকে নিরস্ত্র ও নব্যনাৎসীমুক্ত করতে দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বলে দাবি করা মস্কো বলেছে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ শুরু করেছে।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি তার গ্যাসের মূল্য রুবলে পায়, সেক্ষেত্রে দেশটি পশ্চিমাদের দেওয়া বেশকিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটাতে পারবে।