ক্যাটাগরি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সিন্ডিকেট বাতিলের দাবি

একইসঙ্গে মালেশিয়ায় জনশক্তি পাঠাতে
অন্য ১৩টি সোর্স
কান্ট্রির মতো সকল
বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমবাজারটি খুলে
দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে
এক সংবাদ সম্মেলনে এসব
দাবি জানান বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার
চৌধুরী।

তিনি বলেন, “মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বারবার
বলেছেন, কম খরচে বাজার সকলের জন্য উন্মুক্ত
করবেন, যাত্রীদের শুধু
একবার মেডিকেল করার ব্যবস্থা
করবেন।

“এছাড়া এমওইউ অনুযায়ী জেডব্লিউসি মিটিং করে সিস্টেম
ঠিক করবেন, আইএলও কনভেনশন অনুসরণ করবেন, স্বল্প খরচে যাওয়ার জন্য ডেটা ব্যাঙ্ক
থেকে কর্মী নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

“অন্য ১৩টি দেশের
ন্যায় কর্মী যাবে এবং
বাংলাদেশের অনলাইন সিস্টেম চালুর ব্যবস্থা করবেন। আমরা মন্ত্রীর
উপরোক্ত সকল বক্তব্যের
সাথে একমত এবং
আমাদের প্রত্যাশা তিনি তার
বক্তব্যে অবিচল থাকবেন।”

২০১৬ সালে চালু হওয়ার মাত্র
দেড় বছর ১০টি সিন্ডিকেটের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে মালয়েশীয় সরকার
বাংলাদেশ থেকে কর্মী
নেওয়া বন্ধ করে
বলে দাবি করেন
বায়রার সাবেক মহাসচিব।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “২৫ সিন্ডিকেটের সদস্যরা অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারা বিভিন্ন
সময়ে বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার চালিয়ে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করছে।

“ইতোমধ্যে
তারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে মেডিকেল সেন্টারের বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।”

সিন্ডিকেট বন্ধ
না হলে সম্ভাব্য ক্ষতির উল্লেখ করে আলী হায়দার
বলেন, “পূর্বের ন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং
স্বার্থান্বেষী মহলের কিছু সংখ্যক
ব্যক্তির দেশবিরোধী তৎপরতা চরিতার্থ হবে

“প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় এক হাজার
কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে; অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।”

ইতোমধ্যেই সেসব শুরু
হয়েছে
দাবি করে তিনি বলেন, “সরকার ও দেশের
সুনাম ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে; সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করলে
কর্মী প্রেরণের গতি যেমন
কমে যাবে, তেমনি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও শত শত রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের ব্যবসার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত
হবে এবং শ্রম
বাজার দীর্ঘায়িত না হয়ে
পূর্বের ন্যায় যেকোনো সময় বন্ধ
হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

এছাড়া জনশক্তি রপ্তানি সেক্টরে অনিয়ম, অরাজকতা,
পারস্পরিক রেষারেষি বৃদ্ধি পাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে
দাবি করেন বায়রার সাবেক মহাসচিব।

“মালয়েশিয়া ১৩টি সোর্স
কান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটবিহীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী আমদানির বিপরীতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের
মাধ্যমে শ্রমিক আমদানি করলে, সেটি
হবে স্বাধীন দেশের জন্য অমর্যাদাকর।”

বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি
শাহাদাত হোসেন, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।