এই ১ কোটি শেয়ার রানার
অটোমোবাইলস লিমিটেডের মোট শেয়ারের ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।
এখন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমতি দিলে এই লেনদেন হবে বলে বুধবার ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
সুইডেনের সবচে বড় হেজ
ফান্ড ম্যানেজার ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স এর সহযোগী কোম্পানি ব্রামার অ্যান্ড
পার্টনার্স রানার অটোমোবাইলসের ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক। সেখান থেকে কিছু
শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার জন্য গতবছর থেকেই চেষ্টা করছিল তারা।
কিন্তু কোনো কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার তিন বছরের মধ্যে সেই কোম্পানির উদ্যোক্তাদের শেয়ার
বিক্রি না করার শর্তের কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি।
ওই নিয়ম শিথিল করার জন্য
২০২১ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে আবেদনও করেছিল ব্রামার অ্যান্ড
পার্টনার্স। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি।
রানার অটোমোবাইলস
লিমিটেডে ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোয়াল্লেম চৌধুরী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন রানার অটোমোবাইলস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৯
সালে। শর্তের তিন বছর ইতোমধ্যে পার হয়ে গেছে। ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ারের একটি অংশ
ছেড়ে দিচ্ছে ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স।
২০০০ সালে বাংলাদেশে কাজ
শুরু করে রানার অটোমোবাইলস। ১৩ বছর পর, অর্থাৎ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এ কোম্পানির
১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৬১টি শেয়ার কিনে নেয় ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স।
সে সময় প্রতিটি শেয়ারের
দাম ছিল ৭৭ টাকা ৯২ পয়সা। ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স এর মোট বিনিয়োগ ছিল ১০৫ কোটি
২ লাখ টাকার মত।
এরপর ২০১৯ সালের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রানার। এখন এ কোম্পানির ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার ৫২১টি
শেয়ার ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্সের হাতে আছে।
রানারের শেয়ার বর্তমানে
পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। ২০২১ অর্থবছরে ৩০ কোটি ৭১ লাখ টাকা
মুনাফা করে বিনিয়োগকারীদের প্রতি শেয়ারে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয় এ কোম্পানি।
পুঁজিবাজারে রানারের ১১
কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৩টি শেয়ার আছে।
এর মধ্যে ৫০ দশমিক শূন্য
৪ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৭ দশমিক ১৩
শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার আছে।
ব্রামার অ্যান্ড
পার্টনার্স বাংলাদেশে রানার ছাড়াও আরো সাতটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিল, যার মধ্যে
আছে সুপার শপ আগোরা এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডও ছিল।
এর মধ্যে আগোরার বৃহত্তম
অংশীদার ছিল প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স বাংলাদেশ। গত
মার্চে তারা জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার কোম্পানি সফটলজিক রিটেইলের কাছে পুরোপুরি বিক্রি
হয়ে যাচ্ছে আগোরা।