চালকরা বলছেন, কম গতির শ্যালোমেশিন চালিত
থ্রি-হুইলার, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাভ্যান, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা,
বালুবাহী ট্রাক মহাসড়কে চললে বাস সঠিক গতিতে চলতে পারে না। ফলে মহাসড়কে যানজটের তৈরি
হয়; দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।

বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাসের চালক শাহিন সেখ
বলেন, “কম গতির যানবাহনগুলো আশপাশের সংযোগ সড়ক থেকে হঠাৎ করেই মহাসড়কে উঠে পড়ে। এতে
মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এসব ছোট যানবাহনের কারণে আমরা সঠিক গতিতে গাড়ি চালাতে
পারি না। ঈদযাত্রায় এ অবস্থা চলতে থাকলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে
হবে।
ঢাকা থেকে রংপুরগামী বাসের চালক পিয়াস সরকার
বলেন, বালুবাহী ট্রাকগুলো পাশের রাস্তা থেকে মহাসড়কে উঠার সময় আড়াআড়িভাবে রাস্তা বন্ধ
করে দেয়। এতে সড়কের দুপাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদযাত্রায় এ অবস্থা থাকলে
মহাসড়কে যানজট প্রকট আকার ধারণ করবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক
সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল অবৈধ ও নিষেধ। অন্য সময়ে
তারা মহাসড়ক ব্যবহার করলেও হয়তো মানবিক কারণে ছাড় দেওয়া হয়।
“কিন্তু ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বুধবার
থেকে কোনো ধরনের তিন চাকার যানবাহনকে মহাসড়কে উঠতে দেওয়া হবে না। কেউ আইন অমান্য করলে
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মহাসড়কে বালুবাহী ট্রাক প্রসঙ্গে পরিদর্শক
বলেন, “বালুবাহী ট্রাকের কারণে মহাসড়কে চরম সমস্যা হয়। কিন্তু মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে
নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজ চলায় আমরা এতদিন সহনশীল ছিলাম।
“কিন্তু এখন ঈদযাত্রায় মহাসড়কে বালুবাহী
ট্রাক চলতে দেওয়া যাবে না। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি লুৎফর রহমান
বলেন, ঈদযাত্রায় মাটির ট্রাকগুলোকে মহাসড়কে চলতে নিষেধ করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের কেন্দ্রীয়
নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল থেকে ঈদের দুইদিন পর পর্যন্ত মহাসড়কে নিত্যপ্রয়োজনীয়
পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সব মালবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
“এ ছাড়া তিন চাকার যানবাহন মহাসড়কে চলাচল
নিষিদ্ধ। তারপরও আইন অমান্য করে অনেক সময় তারা মহাসড়কে চলে থাকে। ঈদযাত্রায় তিন চাকার
এসব যানবাহনকে মহাসড়কে উঠতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা না মানলে মামলা দেওয়ার পাশাপাশি
এসব বাহন ধরে থানায় আটকে রাখা হবে।”

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন,
ঈদযাত্রায় তিন চাকার বাহন যাতে মহাসড়কে চলাচল না করে এজন্য বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক
ব্যানার লাগানো হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বাহনগুলোকে ধরে তিনদিন আটকে রাখা
হবে।
বুধবার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক
ছাড়া মহাসড়কে সব মালবাহী যানবাহনের চলাচল বন্ধ থাকবে।