বুধবার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডিত আব্দুস সাত্তার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আব্দুস সাত্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আসামি সাত্তার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুছাপুর গ্রামের মো. সুজত আলীর ছেলে। নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার টাঙ্কির পাহাড়ে ছাদেকের কলোনিতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী শাহেদা আক্তারসহ বসবাস করার সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় এ দম্পতির নয় মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান ছিল।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ অগাস্ট ওই বাসায় শাহেদা আক্তার ‘গলায় ফাঁস দিয়েছে’ স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
শাহেদা কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরুনখোলা গ্রামের মৃত মো. হাশেমের মেয়ে। সাত্তারের সঙ্গে ঘটনার চার বছর আগে তার বিয়ে হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পারিবারিক কারণে তাদের ঝগড়া হত। ঘটনার দিন ঝগড়ার জেরে সাত্তার গলা টিপে শাহেদাকে হত্যা করে।
এরপর মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে শিশু সন্তান নিয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সাত্তার ফিরে এসে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে কান্নাকাটি করতে থাকেন। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাত্তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ মামলায় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগ গঠন হয় ২০১৬ সালের ৪ অগাস্ট। ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন।