ক্যাটাগরি

ঢাকায় ৫% এইডিশ মশা, ৯৪ শতাংশই কিউলেক্স: জরিপ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ঢাকার ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি স্থানে গত ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন ধরে প্রাক মৌসুম এ জরিপ চালানো হয়।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

এইডিস মশা ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী। আর কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া ও ম্যালেরিয়ার মত রোগের জন্য দায়ী।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সংবাদ সম্মেলনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল বলেন, ২০১৯ সালে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা এবার হতে দেওয়া যাবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।

“এজন্য মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। মশা যদি ডিম না পাড়ে তাহলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এমনিতেই কমে আসবে। আমরা এই জায়গায়টায় সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।”

জরিপকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪০টি করে ৮০টি স্থানে পূর্ণাঙ্গ মশার ধরার ফাঁদ পাতা হয়।

এসব ফাঁদে ২ হাজার ৮১৪টি মশা ধরা পড়ে। এরমধ্যে ২ হাজার ৬৭১টি কিউলেক্স ও অন্যান্য প্রজাতির মশা। এইডিস মশা পাওয়া যায় ১৪৩টি। শতকরা হিসাবে ৯৪ দশমিক ৯ শতাংশ কিউলেক্স এবং বাকি ৫ দশমিক ১ শতাংশ এইডিস মশা।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ডিএসসিসি এলাকায় ১০৬টি এবং ডিএনসিসি এলাকায় ৩৭টি এইডিস মশা পাওয়া গেছে। অপরদিকে উত্তরে ১ হাজার ৫৪২টি এবং দক্ষিণে ১ হাজার ১২৯টি কিউলেক্স মশা পাওয়া গেছে।

জরিপের তথ্য বিশ্লেশণে দেখা যায়, ডিএনসিসিতে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেশি। আর ডিএসসিসিতে এইডিস মশার ঘনত্বের পরিমাপক ব্রুটো ইনডেক্স কিছুটা বেশি। এ করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া ৩৮ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে এইডিস মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশ।

এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ ছাড়াল

ডেঙ্গু: ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গোড়ান-বাসাবো
 

সাধারণত মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জরিপের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

ডিএসসিসির ২১, ১৫, ২৩ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ১০ শতাংশের বেশি এবং ৮, ১৪, ২০, ৩৫, ৪৬ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে তা পাওয়া গেছে ১০ শতাংশ।

অপরদিকে ডিএনসিসির ২০, ৩২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ সূচক পাওয়া গেছে ১০ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যে। এছাড়া ১০, ১৩, ১৬, ২৭, ৩০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে যা ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজীর আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।