বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী দাবি না মানায় বুধবার বেলা ১২টা থেকে খনির মূল ফটকে পরিবারসহ তারা বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন।
এর আগে রোববার তারা কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মালকলিপি দিয়ে দাবি মেনে নিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, “দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে।”
তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন।
আবু সুফিয়ান জানান, প্রায় দুই বছর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪০০ জন শ্রমিককে খনির ভেতরে থেকে কাজ করার শর্তে ফেরত নেয়। বাকি ৭৪৭ জনকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভেতরের ৪০০ শ্রমিককে খনির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান এই শ্রমিক নেতা।
আবু সুফিয়ান আরও জানান, ছুটি দেওয়ার সময় কথা ছিল শ্রমিকদের প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে তা আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মরত ৪০০ শ্রমিককে নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন, “শ্রমিকদের বেতন-ভাতার বিষয়গুলো দেখভাল করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান; আমরা এগুলো দেখি না। তবে প্রয়োজন হলে মাঝে-মধে্যে মধ্যস্থতা করি।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।