এতে বলা হয়েছে- বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি-বিদ্বেষ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
এর প্রধান কারণ, দেশে দেশে উগ্র ডানপন্থি ও উগ্র বামপন্থিদের উত্থান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানি।
বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এদিনটি ইসরায়েলের হলোকাস্ট দিবস। ইসরায়েলে এ দিনটি ইয়ম হাসোয়াহ নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানিরা ইউরোপজুড়ে ৬০ লাখ ইহুদিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নিহত সেই ইহুদিদের স্মরণে হলোকাস্ট দিবস পালন করে অসছে ইসরায়েল।
বিবিসি জানায়, তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটিজ বিভাগের ‘সেন্টার ফর ‘দ্য স্টাডি অব কনটেম্পোরারি ইউরোপীয়ান জিউরি’ এর ‘দ্য অ্যান্টি সেমিটিজম ওয়ার্ল্ডওয়াইড রিপোর্ট ২০২১’ বিশ্বব্যাপী কয়েকডজন গবেষণার বিশ্লেষণ, আইনপ্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এবং হুইদি সংগঠনগুলো থেকে পাওয়া তথ্যর ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের গবেষকরা বলছেন, গত এক বছরে নানা ধরনের ইহুদি-বিদ্বেষ উল্লেযোগ্যহারে বেড়েছে। যেসব দেশে ইহুদিদের বড় জনগোষ্ঠী আছে, সেসব দেশেই এ ধরনের ঘৃণা বেশি বেড়েছে।
ইসরায়েলের বাইরে বিশ্বে সবচেয়ে বড় ইহুদি জনগোষ্ঠী আছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেও গত বছর তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন বেশি ঘৃণা বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ইহুদিরা।
ফ্রান্সে এ হার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বেড়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। কানাডাতেও ৪০ বছরের মধ্যে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষমূলক সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে গত বছর অগাস্টে।
যুক্তরাজ্যে গত বছর এর আগের বছরের তুলনায় ইহুদিদের ওপর হামলা বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। একইভাবে জার্মানিতে ২৯ শতাংশ বেড়েছে এবং অস্ট্রেলিয়াতেও গতবছর কেবল মে মাসেই ইহুদি বিদ্বেষের ৮৮ ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১১ দিনের যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার কারণেই ইহুদি-বিদ্বেষ বেড়ে গেছে। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ইহুদিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় ঘৃণা ছড়ানো বেড়েছে।