আদালত সেই আবেদন খারিজ করে বুধবার তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। মালয়েশীয় এই নাগরিকের নাম নাগেনথ্রান ধর্মলিঙ্গম।
মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় ৪২ দশমিক ৭২ গ্রাম হেরোইন পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তার করা হয় ধর্মলিঙ্গমকে। ২০১০ সালে তিনি মাদক পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
মাদক ও মাদক পাচার নিয়ে সিঙ্গাপুরে অত্যন্ত কঠোর আইন রয়েছে। ওই সামান্য পরিমাণ হেরোইনের কারণে ধর্মলিঙ্গম এক দশকেরও বেশি সময় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন।
আইনজীবীরা তার ফাঁসির বিরুদ্ধে একাধিক আপিল করে তাকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে দাবি করেছিলেন। তাছাড়া, ডাক্তারি পরীক্ষাতেও ধর্মলিঙ্গমের বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা ধরা পড়ে।
এরপর সিঙ্গাপুর আদালতে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও সিঙ্গাপুরের বিচার বিভাগের সমালোচনা হয়।
তবে সিঙ্গাপুর সরকার বলছে, ধর্মলিঙ্গম যা করেছেন তা সজ্ঞানেই করেছেন। ভুল, শুদ্ধ বিচার করার ক্ষমতা তিনি হারাননি এবং আদালতে তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধকতায় ভোগার বাড়তি কোনও প্রমাণও দাখিল হয়নি।
তাছাড়া বিবিসি জানায়, বিচার চলাকালে ধর্মলিঙ্গম প্রথমে মাদক বহনে তাকে জোর করা হয়েছিল বলে সাক্ষ্য দিলেও পরে বলেছিলেন, তার অর্থের প্রয়োজন থাকায় তিনি মাদক বহন করেছেন।
মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে দিয়ে ধর্মলিঙ্গমের মায়ের করা শেষ মুহূর্তের আবেদনও আদালত খারিজ করেছে।
মাদকের এই মামলায় প্রায় ১১ বছর পরে এসে ধর্মলিঙ্গমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল। তার পরিবার জানিয়েছে, বুধবার ভোর হওয়ার ঠিক আগে চাঙ্গি কারাগারে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তার ভাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, মৃতদেহ মালয়েশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে।