বুধবার
ভোরে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা এই কিশোরকে (১৫) গ্রেপ্তার
করা হয় বলে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে উপ-অধিনায়ক মেজর মঞ্জুরুল
মেহেদী ইসলাম জানান।
দুপুরে
ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কিশোরের বড় ভাই
আলাউদ্দিন (২৫) বর্তমানে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে আছেন। তাদের বাড়ি রামু
উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
২০১৯
সালের অক্টোবরে কিশোর যখন তার বড় ভাইয়ের হয়ে জামিনের জন্য হাই কোর্টে দাঁড়িয়েছিল
তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। শিশু বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে জামিনও দেয়।
মেজর
মঞ্জুর মেহেদী ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে
আলাউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে একটি মানবপাচার মামলা করেন। আদালত
আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এক
বছর পর ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর আলাউদ্দিন সেজে ওই কিশোর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন
আবেদন করে। আদালত তাকে জামিন দেয়। এ নিয়ে তখন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, জামিন পাওয়ার পর আলাউদ্দিন তার সঙ্গীদের নিয়ে ২০২১ সালের ২৩
এপ্রিল মামলার বাদী নুরুল ইসলাম, চাকমারকূল ইউনিয়নের পশ্চিম শাহ আহমদ পাড়ার
মোহাম্মদ রফিকের ওপর হামলা চালায়। এতে হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে রফিক গুরুতর আহত
হয়।
এরপর
রফিক বাদী হয়ে আলাউদ্দিনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে রামু থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা
করেন। মাসখানেক আগে সেই মামলায় আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি
বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।
এরপরই
আলাউদ্দিনের ছোটভাই ওই কিশোর আত্মগোপনে চলে যায়। তার ওপর নজরদারি চলছিল। ভোরে
থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।