আগের দুই ম্যাচে কোহলির যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, এবার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল পেলেন সেই তেতো স্বাদ- গোল্ডেন ডাক!
আইপিএলে মঙ্গলবার পুনেতে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ১৪৪ রান তাড়ায় ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন কোহলি। বোল্টের করা প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলে তিনি নিতে পারেননি কোনো রান। তৃতীয় বলটিতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়ে পরের বলে অবশ্য দারুণ ফ্লিক শটে চার মারেন তিনি। পরের বলেও বাউন্ডারি পান ভাগ্যের ছোঁয়ায়, ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপারের পাশ দিয়ে।
পরের ওভারেই প্রসিধ কৃষ্ণার বলে কোহলি আউট হয়ে যান ১০ বলে ৯ রান করে। ডানহাতি পেসারের বাউন্সার পুল করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন তিনি। বল তার ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে হেলমেটে লেগে ক্যাচ যায় পয়েন্টের দিকে। একটু এগিয়ে ডাইভ দিয়ে বল মুঠোবন্দি করেন রিয়ান পরাগ।
চলতি আসরে কোহলির দুঃসময় যেন কিছুতেই কাটছে না। ৯ ম্যাচ খেলেও পাননি ফিফটির দেখা। সব মিলিয়ে রান মোটে ১২৮। আইপিএল ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান, সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজনের পাশে যা বড্ড বেমানান।
শুরুতে অবশ্য ভালো কিছুর ইঙ্গিত ছিল। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত ৪১, চতুর্থ ম্যাচে ৪৮। তবে বাকি ৭ ম্যাচ মিলিয়ে করতে পেরেছেন ৩৯।
২০১৯ সালের নভেম্বরের পর থেকে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই কোহলির নেই কোনো সেঞ্চুরি। বড় ইনিংস দূরে থাক, এখন তিনি রান করতেই ধুঁকছেন।
কোহলির বিদায়ের পর সপ্তম ওভারে বেঙ্গালোর খায় জোড়া ধাক্কা। আরেক ভারতীয় পেসার কুলদিপ সেনের পরপর দুই বলে আউট হন দু প্লেসি ও ম্যাক্সওয়েল। অধিনায়ক দু প্লেসি ২৩ রান করে ক্যাচ দেন কাভারে। প্রথম বলে ম্যাক্সওয়েল ধরা পড়েন স্লিপে।
সাত ওভারের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো বেঙ্গালোর ধুঁকতে ধুঁকতে ৩ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় স্রেফ ১১৫ রানে।
৩.৩ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজস্থানের জয়ে বড় অবদান রাখেন কুলদিপ সেন। অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১৭ রানে নেন ৩টি।
এর আগে পরাগের ৩১ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসে দেড়শর কাছাকাছি পুঁজি পায় রাজস্থান। টানা দুই সেঞ্চুরির পর এবার ৮ রানে থামেন জস বাটলার। তার দল অবশ্য পেল বড় জয়ই, ২৯ রানে।