জলবায়ু কূটনীতিতে অবদান
রাখার জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিন তাকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
গত সোমবার লন্ডনের
বিল্টমোর মেফেয়ারে এক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের হাতে পুরস্কারটি
তুলে দেন ‘ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক ভেনিশা ডি
ব্লক ভ্যান কাফেলা। অনুষ্ঠানে আড়াইশ’র
বেশি কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রথমবারের মতো কোন
বাংলাদেশি কূটনীতিককে যুক্তরাজ্য এই এই স্বীকৃতি দিল। এই অ্যাওয়ার্ডটি প্রতিবছর
দেশটিতে নিযুক্ত ১৬৫টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতের মনোনয়ন ও ভোটের ভিত্তিতে দেওয়া
হয়ে থাকে।
‘ডিপ্লোম্যাট’র সম্পাদক
ভ্যান কাফেলা বলেন, “লন্ডনে জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদান ও
নেতৃত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক
সম্পর্ক জোরদারে অব্যাহত উদ্যোগ ও সাফল্যের জন্য তাকে এই সম্মাননা দেওয়া
হয়েছে।”
প্রতিক্রিয়ায় এই
পুরস্কার দেশের জন্য গর্বের বিষয় বলে জানিয়েছেন সাইদা
মুনা তাসনিম ।
“এই
স্বীকৃতি যা বিশেষ করে জলবায়ু কূটনীতির জন্য প্রদান করা হল
তা আমার
এবং আমার দেশের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়। আমি আমার প্রিয় রাষ্ট্রবদূতদের কাছে অতন্ত্য কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীত
করেছেন।”
হাইকমিশনার তার এই
পুরস্কারটি বিশ্বের লাখ জলবায়ু অভিবাসী ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জলবায়ু
বিপর্যয়ের শিকার অগণিত মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেন।
কপ২৬ এবং ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল
ফোরামে’ বাংলাদেশের
প্রেসিডেন্সির গুরুত্বপূর্ণ বছরে লন্ডনে বাংলাদেশের জলবায়ু কূটনীতির সুযোগ
করে দেওয়ার জন্য হাইকমিশনার তার এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
গত এক যুগ করে ‘ডিপ্লোম্যাট
অব দ্য
ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ লন্ডনের
কূটনীতিকদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এটি লন্ডনে
নিযুক্ত ১৬৫ টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকদের কর্মদক্ষতা ও সাফল্যের
প্রতিফলক হিসেবেও ধরে নেওয়া হয়।
