সদর উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারারণ চন্দ্র বর্মণ বুধবার অমরখানা ইউনিয়নের
ভিতরগড় মৌজায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এরপর এই জমিতে লাল
পতাকা তুলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়।
২০০১ সাল থেকে এই জমি
‘স্যালিল্যান্ড টি এস্টেটের’ দখলে ছিল যেখানে তাদের চা বাগান রয়েছে।
অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান
মো. নুরুজ্জামান নুরু জানান, স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট ২০০১ সালে জমিটি দখলে নেয় এবং
চা বাগানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে।
তিনি বলেন, ১ নম্বর
খতিয়ানভুক্ত ১৮ দশমিক ২৮ একর জমি ভারত সীমান্তের কাছে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেদখলে ছিল।
এর আগেও একাধিকবার জায়গাটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও অজ্ঞাত কারণে তা
আলোর মুখ দেখেনি।
“কোনো দলিল বা কাগজপত্র
ছাড়াই দখলকারীরা ওই জমিতে চা বাগান করে ২১ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। বর্তমানে শুধু
জমিটির বাজার মুল্য প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা হতে পারে। এছাড়া সেখানে চা বাগান
থাকায় এর মূল্য আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।”
অভিযান চলাকালে অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক ও সদর
থানা পুলিশের একটি দলসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
স্যালিল্যান্ড টি এস্টেটের
ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম বলেন, “জোড়পূর্বক দখলে রাখার বিষয়টি ঠিক না। ব্রোকারের
(দালাল) মাধ্যমে আমরা ২১ বছর আগে এই জমি ক্রয় করে চা বাগান করি। পরবর্তী সময়ে জানতে
পারি যে বাগানের প্রায় ১৮ একর জমি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। এরপর আমরা নিয়মানুযায়ী
জমিটি স্থায়ী বন্দোবস্ত পেতে জেলা প্রশাসন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। এ প্রেক্ষিতে
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি টিম জমি পরিদর্শনও করে। কিন্তু জমি বন্দোবস্ত পাওয়া যায়নি।”
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল
ইসলাম বলেন, “সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধার আমাদের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ খাস সম্পত্তির প্রয়োজন। এজন্য রমজান
মাসেও জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এর অংশ হিসেবে ১৮ দশমিক ২৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা
হয়েছে।”