বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম এই আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান।
রোববার এই কলেজছাত্রকে ডেকে নিয়ে কলেজের একটি কক্ষে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে মারধর ও ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ করেন ওই কলেজছাত্র।
এ ঘটনায় তার বাবা বুধবার তালা থানায় মামলা করলে রাতেই খুলনার ডুমুরিয়া থেকে সৈয়দ আকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাটি প্রধান আসামি সৈয়দ আকিব উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন তালা উপজেলার হরিশচন্দ্রকাটি গ্রামের গণেশ চক্রবর্তীর ছেলে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তী (৩২), তালার বাসিন্দা ছাত্রলীগকর্মী জে আর সুমন (২৫), তালার মহান্দি গ্রামের ছাত্রলীগকর্মী জয় (২৪) ও তালা সদরের নজির শেখের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী নাহিদ হাসান উৎসকে (২৪)।
পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, সৈয়দ আকিবকে দুপুরে আদালতে আনা হয়। জামিনের আবেদন না থাকায় দুপুরের পরপরই তাকে সাতক্ষীরা জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা এখনও পলাতক।
এর আগে এ নির্যাতনের কারণ জানা না গেলেও এখন পুলিশ বলছে, প্রেমঘটিত বিষয়ে এই হামলা চালানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রেমের বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার বিকালে ওই কলেজছাত্রকে তালা কলেজেরর ছাত্রাবাসে মারধর করে একদল যুবক।”
সাতক্ষীরায় কলেজছাত্রকে বিবস্ত্র ও নির্যাতন করে ভিডিও, মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী
এর আগে পিটুনির শিকার ছাত্রের বাবা মামলার বাদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমি ধারণা করছি আমার ছেলের নতুন মোটরসাইকেলটি তারা নিয়ে নিতে চেয়েছিল। সে কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।”
ঘটনার বিবরণে ওই কলেজছাত্র বলেন, নাহিদ হাসান উৎস তার পূর্ব পরিচিত। রোববার ফোন করে তাকে ডেকে নিয়ে মারপিট শুরু করে আকিবসহ অন্যরা। কলেজের পশ্চিম পাশে একটি কক্ষে টানা ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। হাতে, পায়ে নির্মমভাবে মারপিট করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এরপর বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। তারপর বাড়িতে ফোন দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
তিনি আরও জানান, যে কক্ষে তাকে আটকে রেখেছিল সেখানে বেল্ট, লাঠিসোটা রয়েছে; ওটা ‘টর্চার সেল’ বলে মনে হয়েছিল। সেখান থেকে তার চাচাতো ভাইয়েরা তাকে উদ্ধার করেছে।