নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে
গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার সুমন মিয়া (২২) মাধবপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মারুফ
মিয়ার ছেলে।
হামলার ঘটনায় সুমনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার [২৫
এপ্রিল] মাধবপুর থানায় মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন।
মামলার বরাতে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার সোমেন
মজুমদার বলেন, ১৯ এপ্রিল ভোরে ওই তরুণী হামলার শিকার হন। সেহেরির সময় ঘরের বাইরে গেলে
সুমন ও তার সঙ্গীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে । মেয়েটির চিৎকারে পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে সোমবার তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই তরুণী বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে সুমন তাকে বিরক্ত করতেন। প্রথমে
তিনি নাম ও পরিচয় গোপন রেখে দরজার সামনে চিঠি রেখে যেতেন। পরে মোবাইল নম্বর দিয়ে
চিঠি রাখা শুরু করেন।
এদিকে ওই তরুণী মোবাইল ব্যবহার না করায় কয়েক দিন পর সুমন সরাসরি
প্রেমের প্রস্তাব দেন বলে জানান তিনি।
তরুণী আরও বলেন, “কিন্তু আমি তাকে না করে দিলে সে আমার জীবন নষ্ট করে
দেওয়ার কথা বলে। লজ্জায় আমি কাউকে কিছু বলিনি। ১৯ তারিখ ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘরের
পাশেই টিউবওয়েলে হাত-মুখ ধুতে যাই। ফেরার সময় সুমন আমার ওপর হামলা চালায়।”
সহকারী পুলিশ সুপার সোমেন জানান, গ্রেপ্তার সুমনকে মাধবপুর থানায়
হস্তান্তর করা হবে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সুমন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান র্যাব
কর্মকর্তা সোমেন।