মঙ্গলবার থেকে এ ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপারে চাপ বাড়লেও বৃহস্পতিবার তা তুলানমূলক বেশি বলে ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক জিয়াউল হায়দার জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভোর থেকেই ঘাটে ছোট গাড়ি ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর পর্যন্ত সংযোগ সড়কগুলো গাড়িতে ঠেসে যায়। তবে দুপুরের পর কিছুটা চাপ কমতে থাকে।”
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঈদ সামনে রেখে একটু একটু করে ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। শুক্রবার চাপ আরেকটু বাড়বে। চাপ সামলাতে রো রো ফেরি এনায়েতপুরী বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।”
এর আগে বুধবার সারাদিনে নয়টি ফেরি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে চলাচল করেছে।
তবে সন্ধ্যার পর তিনটি বন্ধ রেখে ছয়টি চালু রাখা হয় বলে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহমেদ জানান।
এদিকে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে শিমুলিয়া দিয়ে ঘরমুখোদের চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে ধারণা শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনের।
তিনি বলেন, “নিরাপদে যাত্রী পারাপারের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার নৌ-পথে ৬৫টি ও শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি পথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। আরও দুটি লঞ্চ নানা কারণে চলতে পারেনি।
“লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের সময় ও ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া এবং ঝুঁকি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের বাইরে লঞ্চ স্পিডবোট চালানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শাহাদাত আরও জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে সকাল সাড়ে ৬ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট চলাচল করছে। স্পিডবোটে ১৫০ টাকা ও লঞ্চে ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তৎপর থাকার কথা জানিয়েছেন লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।
পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ, নৌ পুলিশ, লৌহজং থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড, সিভিল ডিফেন্স ও আনসার সদস্যদেরও এ বিষয়ে নজর রাখকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ঘাট এলাকায় কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হবে বলে জানান ইউএনও।