আগামী মাসে ৩ তিনের এ সফরে প্রথমে
দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন বাইডেন, সেখান থেকে প্রতিবেশী দেশ জাপানে যাবেন।
বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের
এক প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে,
বাইডেন ২১
মে দক্ষিণ
কোরিয়ার নতুন
প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সক-ইয়লের সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন।
এর পক্ষকাল আগে
১০ মে-তে সক-ইয়ল দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ
নেবেন।
বাইডেনের এই সফরের বিষয়ে এক
বিবৃতিতে হোয়াইট
হাউস বলেছে, “নেতারা আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ
নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার, অর্থনৈতিক বন্ধন
শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বিস্তৃত
করার সুযোগ
নিয়ে আলোচনা
করবেন।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স
জানিয়েছে সূচি অনুযায়ী, ২২
মে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট জাপান গিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
ফুমিও কিশিদার
সঙ্গে বসবেন। দুই নেতা এরপর
কোয়াড নেতাদের
বৈঠকে অংশ
নেবেন, সেখানে
তাদের সঙ্গে
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের শীর্ষ নেতারাও
থাকবেন।
এমন এক সময়ে
বাইডেনের এশিয়া
সফরের কথা
জানানো হল,
যখন ইউক্রেইনে
রাশিয়ার অভিযান
ও এশিয়ায়
চীনের অর্থনৈতিক
ও নিরাপত্তা
প্রভাব মোকাবেলায়
ওয়াশিংটন মিত্রদের
ঐক্য ও
অঙ্গীকার জোরদার
করতে চাইছে।
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার
নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের
নতুন অবস্থান
নিয়ে উদ্বেগ
সৃষ্টি হওয়ায়
সিউল ও
টোকিওতে মার্কিন
প্রেসিডেন্টের বৈঠকগুলোতে উত্তর কোরিয়াও বেশ
গুরুত্ব পাবে
বলে মনে
করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ
নেতা কিম
জং উন
সম্প্রতি হুমকি
দিয়ে বলেছেন,
তার দেশের
‘মৌলিক স্বার্থ’
লংঘন করবে
এমন যে
কারও ওপরই
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। ২০১৭ সালের পর
গত মাসেই
দেশটি প্রথম
দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের
পরীক্ষা চালিয়েছে।
পিয়ংইয়ং এখন ফের
আরেক রাউন্ড
পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে
ধারণা সিউল
ও ওয়াশিংটনের
কর্মকর্তাদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
দায়িত্ব নিতে
যাওয়া ইয়ুনের
এক মুখপাত্র
বায়ে হিউন-জিন বলেছেন,
“ইয়ুন ও
বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র
ও দক্ষিণ
কোরিয়ার মধ্যে
বন্ধন জোরদার,
উত্তর কোরিয়া
নিয়ে নীতি
সমন্বয়, অর্থনৈতিক
নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও
বৈশ্বিক বিষয়সহ
অনেক কিছু
নিয়ে গভীর
আলোচনা করবেন।”
নির্বাচনী প্রচারে ইয়ুন
উত্তর কোরিয়ার
হুমকি মোকাবেলায়
দক্ষিণের প্রতিরক্ষা
সক্ষমতা শক্তিশালী
করার প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলেন।
টোকিওতে বৈঠকে বাইডেন
ও কিশিদার
আলোচনায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল
ও এর
বাইরের বিভিন্ন
বিষয়ও স্থান
পাবে বলে
এক ব্রিফিংয়ে
বলেছেন জাপানের
মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ
সচিব হিরোকাজু
মাতসুনো।
“ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণ
হচ্ছে জোর
করে স্থিতাবস্থা
বদলানোর চেষ্টা
এবং এটি
বিশ্বব্যবস্থাকে একটি বড়সড় ধাক্কাও দিয়েছে;
এ কারণে
যুক্তরাষ্ট্র-জাপান মিত্রতাকে আরও শক্তিশালী
করা এবং
সেই মিত্রতা
যাচাই করে
দেখা জরুরি
হয়ে পড়েছে,
যা অবাধ
ও মুক্ত
ইন্দো-প্যাসিফিকের
জন্য কাজ
করার সুযোগ
দেবে,” বলেছেন
তিনি।