বুধবার রাতে নগরীর সিআরবি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান।
পুলিশ বলছে, প্রিয়ম বিশ্বাস নামের ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক ইভান হত্যার ঘটনায় ‘সরাসরি জড়িত’।
ওসি জাহেদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার দিন প্রিয়ম পাঞ্জাবি পড়া ছিল। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ভিডিও দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, প্রিয়ম হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
“সে (প্রিয়ম) এবং তার অপর এক সহযোগী আসকারকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরেছিল, আরেকজন ছুরিকাঘাত করে।”
এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় দুই দল কিশোর তরুণের মারামারির মধ্যে গত ২২ এপ্রিল রাতে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে আজাদী গলির ভেতরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ইভানকে।
তিনি বিএএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিবাদমান দুটি কিশোর দলের মধ্যে একটির সদস্য ইভান জামালখান এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও কোনো কমিটিতে ছিলেন না।
ঘটনার পর রাতেই ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, তিনিও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন।
ওসি জাহেদুল বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে ইভানের বাবার করা মামলায় প্রিয়মের নাম ছিল না। কিন্তু ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। স্থানীয়ভাবে পাওয়া ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সবার নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
প্রিয়মকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ইভান তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে চেরাগী পাহাড় আজাদী গলির ভেতরে গিয়ে গ্রেপ্তার ১৭ বছর বয়েসী ওই কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে।
“এ সময় কিশোরটি ইভানকে লাথি মেরে চিৎকার শুরু করলে তার পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসে তখন ইভানের সাথে থাকা ছেলেরা পালিয়ে যায়। তখন তারা ইভানকে ছুরিকাঘাত করে।”
আরও খবর