মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে মুস্তাফিজের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। ৩টি উইকেটই তিনি নেন ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে। ডট বল করেন ১৪টি, হজম করেন স্রেফ দুটি বাউন্ডারি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতা ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৪৬ রান। দিল্লি সেটি পেরিয়ে যায় ৪ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখে।
৩ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিল্লির সফলতম বোলার কুলদিপ যাদব। বিস্ময়করভাবে, এই রিস্ট স্পিনারের চার ওভারের কোটা শেষ করাননি অধিনায়ক রিশাভ পান্ত।
ইনিংসের প্রথম ওভারে বল হাতে পেয়ে মুস্তাফিজ শুরুটা করেন ওয়াইড দিয়ে। এরপর ৬ বল থেকে দেন স্রেফ ১ রান। দ্বিতীয় বলে তার ইনসুইঙ্গার আঘাত হানে অ্যারন ফিঞ্চের প্যাডে, এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
চার বল খেলে ফিঞ্চ নিতে পারেন শুধু একটি সিঙ্গেল। শেষ দুই বলে রান নিতে পারেননি আরেক ওপেনার ভেঙ্কাটেশ আইয়ার।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরেও নিখুঁত লাইন-লেংথ ধরে রাখেন মুস্তাফিজ। দেন ৫ রান। দ্বিতীয় বল বাবা ইন্দ্রজিতের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে লেগ স্টাম্পে লাগেনি।
আবার তিনি বোলিংয়ে আসেন ১৮তম ওভারে। কলকাতার রান তখন ৬ উইকেটে ১১৮। প্রথম বলে রিঙ্কু সিং নেন সিঙ্গেল। কলকাতাকে টানতে থাকা নিতিশ রানা পরের দুই বলে নিতে পারেননি রান। চতুর্থ বল অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে চার মারেন তিনি। পরের বলে ১ রান। শেষ বল আবারও অফ স্টাম্পের বাইরে, এবার পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন রিঙ্কু। ওভারে আসে ১০ রান।
শেষ ওভারে মুস্তাফিজের প্রথম বলে রানা নেন সিঙ্গেল। পরের বলটা ইয়র্কার লেংথের মতো, ছক্কায় ওড়াতে যান রিঙ্কু, লং অফ থেকে ডান দিকে দৌড়ে ক্যাচ নেন রভম্যান পাওয়েল।
তৃতীয় বল আঘাত হানে উমেশ যাদবের প্যাডে, এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার; রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। লেগ বাই থেকে আসে ১ রান। পরের দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাভারের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রানা। সুইপার কাভার থেকে দৌড়ে এসে সামনে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন চেতন সাকারিয়া। থামে রানার ৩৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস।
পরের বলে দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড টিম সাউদি। হ্যাটট্রিক বলে উইকেট না মিললেও ওয়াইড ইয়র্কার ব্যাটেই লাগাতে পারেননি হার্ষিত রানা। শেষ হয় মুস্তাফিজের অসাধারণ ওভার।
আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারের সেরা বোলিং এটিই, ৩/১৮। প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, রান দিয়েছিলেন ২৩।