বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি
মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস
উদযাপন এবং কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় মন্ত্রী
বলেন, বাংলাদেশের শিল্প কলকারখানাগুলোকে এখন ‘নিরাপদ ও কর্মীবান্ধব’ করা হয়েছে।
“শ্রমিকরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে।
দেশের শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা
হয়েছে।”
তিনি বলেন, “শ্রমিক ও মালিক দুপক্ষ মিলেমিশে
কাজ করছে বলেই বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পোন্নয়ন হচ্ছে। তবে আরও অনেক দূর যেতে হবে। এ জন্য
মালিক শ্রমিক উভয় পক্ষেরই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ
আগামী ২০৩০ সালের আগেই এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবে বলে
আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের ফলে কোভিড-১৯ এর কারণে
কারখানার শ্রমিকরা তেমন একটা ক্ষতিগ্রস্ত হননি। শ্রমিকদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ
গ্রহণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।”
শ্রমিকদের ডিজিটাল ডেটাবেইজ তৈরির কাজ
চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে শ্রমিকদের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের
জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে এবং শ্রমিকদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য
আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসানে এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের
মধ্যে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবীর, বিকেএমই-এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট
মো. হাতেম, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, জাতীয় শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
নুর কুতুব আলম মান্নান বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।