বৃহস্পতিবার পেশাজীবীদের
এক ইফতার মাহঠফিলপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এদেশের অবস্থা কোথায় গিয়েছে? গতকাল
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে, তারা সন্ত্রাসী
কায়দায় রাতে তালাবদ্ধ ঘর ভেঙে ফলাফল খুলে নিয়ে ঘোষণা করল।
“অর্থাৎ, আমরা এখনও যেখানে
কিছু আশা করতাম, এই প্রতিষ্ঠানটি (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) এতদিন পর্যন্ত ভাঙা
সম্ভব হয়নি। সেখানেও তারা (আওয়ামী লীগ) এভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রবেশ করল।”
দেড় মাস আগে ভোট হলেও সম্পাদক
পদের ফল নিয়ে বিরোধের জেরে ফল প্রকাশ আটকে ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিদায়ী
সহসভাপতি মো. অজি উল্লাহর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা বুধবার বিকালে বিএনপি
সমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে মারামারির পর ব্যালট রাখার কক্ষে অবস্থান নেন।
নিজেকে নির্বাচন পরিচালনা
উপ-কমিটির নতুন আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাত ১০টায় ভোট পুনর্গণনার ফল ঘোষণা করেন
অজি উল্লাহ। তিনি জানান, সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের আবদুর নুর দুলাল ২ হাজার
৮৯১ ভোট পেয়েছেন, অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি রুহুল কুদ্দুস কাজল ২ হাজার
৮৪৬ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ, দুলাল তার প্রতিদ্বন্দ্বী কাজলের চেয়ে ৪৫ ভোট বেশি পেয়েছেন।
আইনজীবীদের উদ্দেশে ফখরুল
বলেন, “এই বিষয়টা নিয়ে আপনাদের প্রতিবাদ করা দরকার। আজকে আইনজীবীদের বেরিয়ে বলা উচিত
ছিল যে এই ভয়াবহ অন্যায় সহ্য করা যাবে না। আজকে আইনজীবীদের উচিত ছিল- প্রধান বিচারপতির
কাছে যাওয়া এবং সারা বাংলাদেশে সমস্ত আইনজীবীদের প্রতিবাদ করা।
“কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের
বিষয় যে, ফ্যাসিবাদ যখন আচরণ করে, তখন এভাবে সমস্ত প্রতিবাদকে রুদ্ধ করে ফেলে।”
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও
গণমাধ্যম সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে গণমাধ্যম ও মিডিয়ার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ
করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস
ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপির আয়োজিত এ ইফতার পার্টিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
লন্ডন থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ
উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন,
মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী,
আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কবি আবদুল
হাই শিকদার, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ও ইলিয়াস খানও অংশ নেন আলোচনায়।
বিএনপির নজরুল ইসলাম খান,
অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজম, প্রকৌশলী আনহ আখতার হোসেইন,
অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরীসহ
পেশাজীবী নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।