নগরীর শেরশাহ ও সীতাকুণ্ড
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়
বলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান।
গ্রেপ্তার পাঁচ জন হলেন-
মো. সাকিব (২৩), মো. সোহেল (২৯), জাহিদুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল (২২), মো. পারভেজ (২২) ও
ইসমাইল হোসেন রাব্বী (২২)। তাদের সবার বাড়ি
সীতাকু্ণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ওসি কামরুজ্জামান বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাকিব বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরাশাহ এলাকা থেকে এক ব্যক্তির
মোটর সাইকেল চুরি করে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। পরে তার দেওয়া
তথ্যে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
“সাকিব পেশাদার মোটর সাইকেল
চোর। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় সে বায়েজিদ থানা পুলিশের হাতে
গ্রেপ্তার হয়েছিল। মাস খানেকের মধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় মোটর সাইকেল চুরি করতে
গিয়ে ধরা পড়েছে।”
ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর পাল্টে চোরাই মোটর সাইকেল বিক্রি, গ্রেপ্তার ৩
কামরুজ্জামান জানান, মিরাজ
ও আজাদও আগে থেকে মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত। আর অন্যরা চোরাই মোটর সাইকেলের ক্রেতা
বিক্রেতা। তারা বিভিন্ন চোরাই মোটর সাইকেল সংগ্রহ করে রঙ এবং ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর
ঘসামাজা করে পরিবর্তন করে বিক্রি করে আসছিল।
“সাকিব, মিরাজ ও আজাদ বিভিন্ন
স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে সোহেলের কাছে দিত। সোহেল সেগুলো রাব্বী, পারভেজ ও
পলাতক কামরুল ও সাকিব নামে আরেকজনের মাধ্যমে রঙ এবং ইঞ্জিন ও চেসিসের নম্বর পাল্টে
বিক্রি করত।”
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
সাকিবকে ধরার পর তার দেওয়া তথ্যে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। সেখান
থেকে অন্যদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন ধরনের আরও পাঁচটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতের
মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।