দেশটির উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের অধিকাংশ অংশে চলতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২ থেকে ৪ সেলসিয়াস বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি); তারপর থেকে আবহাওয়ায় ‘বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন’ হবে না বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য সরকারগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, “দেশে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে আর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আগেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

ছবি: রয়টার্স
বিবিসি জানিয়েছে, সাধারণত মে-জুনে ভারতে দাবদাহ নিয়মিত ঘটনা হলেও চলতি বছর মার্চেই উচ্চ তাপমাত্রাসহ গ্রীষ্ম শুরু হয়ে যায়। এবার মার্চের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ওই মাস থেকেই দাবদাহ দেখা দিতে শুরু করে।
আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট জানিয়েছে, চলতি বছরের আগাম দাবদাহে প্রায় ১৫টি রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনকী মনোরম তাপমাত্রার জন্য পরিচিত হিমাচল প্রদেশও এর বাইরে ছিল না।
আসছে সপ্তাহে রাজধানী দিল্লিতে পারদ ৪৪ সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইএমডির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নরেশ কুমার চলতি দাবদাহের জন্য স্থানীয় বায়ুমণ্ডলীয় কারণগুলোকে দায়ী করেছেন।

ছবি: রয়টার্স
এগুলোর মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া ঝড়ের কারণে বর্ষাকাল শুরুর আগে ভারতের উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড়বিরোধী উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপীয় এলাকায় বাতাসের ঘনীভূত হওয়া- এর কারণে মার্চে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে দেখা দেওয়া উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া।
এসব লক্ষণ দৃশ্যমান হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, তাপমাত্রার অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধিতে তাদের গমের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে এবং কয়লার ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাড়তে থাকা তাপমাত্রার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ভারতের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে গ্রীষ্মকাল বহু আগে থেকেই অত্যন্ত প্রখর হলেও ইদানীং এর তীব্রতা বাড়ার ও ঘনঘন দাবদাহ দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করার বিষয়গুলো রেকর্ডেও উঠে আসছে বলে বহু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।