শুক্রবার ঢাকার পীরেবাগ, বড়বাগসহ আরও
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা করে; কোথাও
কোথাও ৭২০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।
যদিও গত সপ্তাহে গরুর মাংসের দাম কোথাও
৬৫০ টাকা কোথাও ৭০০ টাকা ছিল। খাসির মাংস কয়েকমাস ধরেই প্রতি কেজি ৯০০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি মুরগির মাংসে
২০ থেকে ৩০ টাকা করে দাম বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি
১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে ছিল। লেয়ার মুরগি ২২০ থেকে
২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফাইল ছবি
পীরেরবাগে গরুর মাংস কিনতে আসা একজন
ক্রেতা বলেন, “আমাদেরও অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। দোকানিরা ইচ্ছে মতো
দাম বাড়াচ্ছে আর আমরাও প্রয়োজন মতো কিনে নিচ্ছি।
“গত তিনমাসে প্রতিকেজি গরুর মাংসে দুইশ টাকা করে দাম
বেড়ে গেল। অথচ এ নিয়ে কারও কিছু ভ্রুক্ষেপ নেই। সবাই আছে তেল-পেঁয়াজ নিয়ে।”
মাংস বিক্রেতা আল আমিন বলেন, “গরুর দাম বাড়লে মাংসের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। মাংস বিক্রেতারা লস
দিয়ে তো সারাদিন মাংস বিক্রি করতে পারবে না। কেউ ইচ্ছে করে দাম বাড়াতে চাইলেও পারে
না।”
বৃহস্পতিবার অফিস শেষে ঢাকা থেকে গ্রামে
ফিরতে শুরু করে মানুষ। তবে ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি থাকায় অনেকেই শুক্রবারও যাত্রা করেননি।
ঈদে বাড়ি ফেরায় স্বস্তি দিতে কিছু এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ঈদের ছুটি শুরু হলেও বাজারে ক্রেতা
কমেনি জানিয়ে বড়বাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা তোফায়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“গত সপ্তাহের দামেই শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে।”
ফাইল ছবি
বরং সরবরাহ কম থাকায় ঢেঁড়স, বরবটি,
গাজর, পটলসহ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ৫/১০ টাকা বেড়েছে।
এই বাজারে প্রতিকেজি ঢেঁড়শ ৫০ টাকা,
বরবটি ৬০ টাকা, চায়না গাজর ১১০ টাকা, দেশি টমেটো্ ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা,
কচুর লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বড়বাগ বাজারে এদিন শোল মাছ বিক্রি হচ্ছিল
প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায় পাওয়া গেছে। ছোট আকারের
চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ছিল।
একইভাবে তেলাপিয়া, শিং, রুই, কাতল মাছেলর
দামও গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে বলে বিক্রেতাদের দাবি।
মাছ বিক্রেতা আবু হানিফ বলেন, “ঈদ উপলক্ষে দুদিন ধরে মাছের ট্রাক ঢুকতে পারছে না ঢাকায়। সে কারণে মাছের
সপ্লাই কমে গেছে। মূলত শবে বরাত কেন্দ্র করে দামটা বেড়েছিল। এখন বাজারে সাপ্লাই খুবই
কম, সেকারণে আড়তে দাম বাড়তি।”