শুক্রবার রাজধানীর
গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিদর্শনের পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের
তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “গাজীপুরের
যে সমস্যা ছিল, আমার মনে হয় এবার আর সেই সঙ্কট হবে না। আমরা তিনটা ফ্লাইওভার খুলে
দিয়েছি গাজীপুরে। সেখানে এখন নিয়মিত গাড়ি চলছে।
“আর উত্তরবঙ্গের দিকে
সবসময় যে সমস্যা হয়, সেটা ওভারকাম করেছি। সেখানে নলকা ছিল দীর্ঘদিনের একটা সমস্যা।
আমরা নলকা সেতু করে ফেলেছি। কাজেই সেখানে কোনো সংকট হবে বলে আমার মনে হয় না।”
তারপরও কিছু জায়গায়
যানজটের জন্য চালকদের অসহিষ্ণুতাকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, “একটু ভিড় দেখলেই অনেক
সময় রং রোডে চলে যায়। রং রোডে দু-চারটা গাড়ি গেলে এরপর পুরো এলাকা অনেকক্ষণ ধরে যানজটে
থাকে। এবার বিষয়টাকে আমরা ভালোভাবে দেখছি। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার সড়ক
ভালো আছে।”
ঈদের সড়কে যেন যানজট না
হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “এবার কোনো
রাস্তায় যেন কোনো অবস্থায় দুর্ভোগ না হয়, সে ব্যাপারে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) খেয়াল
রাখছেন।
গাবতলী টার্মিনালে
সেলফী নামের একটি পরিবহন দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। কাউন্টার থেকে বলছে, সার্জেন্টকে
তারা গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা করে ঘুষ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ
করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দুয়েকটা ঘটনা হয়ত ঘটছে। আমাদের লোক সার্বক্ষণিক
দায়িত্বে আছে। এরকম কিছু হলে আমরা অবশ্যই দেখব।”
ঈদের পর বিএনপির
আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
বলেন, “দেখতে দেখতে ১৩ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর?
বিগত ১৩ বছর ধরে বিএনপি
ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনে নামবে বলে ঘোষণা দিয়ে আসছে। আসলে পথ হারানো পথিকের অবস্থা
যেমন হয়, বিএনপির অবস্থাও তেমন হয়েছে৷ তারা কখন যে কী বলবে, কখন যে কী করবে সেটা
বলা মুশকিল।”
বিএনপির জাতীয় ঐক্যের
সরকারের ধারণা নিয়ে প্রশ্ন করলে কাদের বলেন, “তাদের গড়া জাতীয় ঐক্যের চেহারাটা
আমরা গত নির্বাচনেও দেখেছি। তারপর সংলাপে এল, নির্বাচনে যাবে। নির্বাচনের সময় দেখা
গেল তাদের ঐক্যের লেজেগোবরে অবস্থা। তাদের আন্দোলনের নেতা কে? নির্বাচনে জিতলে
তাদের প্রধানমন্ত্রী হবে কে “