এ নিয়ে টানা নয় দিন কোভিডে
মৃত্যুহীন থাকল বাংলাদেশ। এর আগে গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর এসছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার
সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পৌনে পাঁচ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে এই ৩০ জনের কোভিড
শনাক্ত হয়েছে।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ
পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৪ জন হয়েছে। নতুন কারও মৃত্যু
না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন
আরও ৩২৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৪০১ জন। অর্থাৎ
তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ২৫ জন ঢাকা বিভাগের। তাদের মধ্যে
১৩ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এ বিভাগে টাঙ্গাইল জেলায় দুজনের করোনাভাইরাস
শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া ময়মনসিংহ জেলায় চাঁদপুর জেলায় দুইজন, কুষ্টিয়া জেলায় ১ জন এবং
মাগুরা জেলায় দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ,
সিলেট এবং বরিশাল বিভাগে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে
রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট
২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৩১ হাজারের
বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ২৫ লাখের বেশি।