২০১৫ সালের অক্টোবরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে লিভারপুলের দায়িত্ব নেন ক্লপ। ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ বৃহস্পতিবার অ্যানফিল্ডের দলটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ান। আগের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিভারপুল। তার আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নিজের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন ক্লপ।
“চিরকালের জন্য যদি সম্ভব নাও হয়, যতদিন সম্ভব আমরা এই ক্লাবকে সফল করার চেষ্টা করতে চাই। তার মানে অবশ্যই এই নয় যে, আমি এখানে চিরকাল থাকব!”
“(চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি) আগেভাগেই হয়ে গেছে… এবং দলবদলের উইন্ডোর জন্য এটা খুব ভালো। আমরা সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারব না কিন্তু স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দিতে পারি, কঠিন এই সময়ে যে নিশ্চয়তা খুবই বড় বিষয়।”
ক্লপ সাফল্যের ব্যাপারেও বেশ আত্মবিশ্বাসী। তুলে ধরেন নিজের দর্শন।
“আমরা মনে করি, কোনো কিছুর মাঝখানে আছি আমরা, কিছুর শেষে নয়। যখন কেউ মাঝখানে থাকবে, তখন সে সেটা শেষ করতে চাইবে এবং আশা করি এটা দারুণ সাফল্য মণ্ডিত হবে।”
সাদিও মানে ও মোহামেদ সালাহর সঙ্গে লিভারপুলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর ৩০ জুন। এই দুজনের ভবিষ্যৎ নিয়েও তাই লিভারপুল ভক্তদের মাঝে নানা আলোচনা রয়েছে। অনেকের বিশ্বাস, কোচের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোয় মানে ও সালাহর সঙ্গেও নতুন চুক্তি করা সহজ হবে লিভারপুলের।
তবে ক্লপ মোটেও এভাবে ভাবেন না। তার কথায় পরিস্কার, খেলোয়াড়দের স্বাধীন ভাবনারই প্রতিফলন থাকবে সেখানে।
“দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। এটা (নিজের চুক্তি) যদি ছেলেদের জন্য ইতিবাচক দিক হয়, তাহলে তো খুবই ভালো। কিন্তু আমি মনে করি না, এটা সিদ্ধান্ত নিতে বড় ভূমিকা রাখবে। কিন্তু যে খেলোয়াড়রা এখানে থাকতে চায়, তারা জানে এখন তারা কী আশা করতে পারে।”
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত খেলছে লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছে সেমি-ফাইনালে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-০ গোলে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে দলটি।
এফএ কাপের ফাইনালেও উঠেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। লিগ কাপ আগেই জিতে নেওয়ায় ইংল্যান্ডের প্রথম দল হিসেবে মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে।