বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত
কমিশনার হাফিজ আকতার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ১৩ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান।
গ্রেপ্তার ১৩ জন হলেন- জাকির হোসেন
(৪০), জিয়াউল মোল্লা (৪৬), আরিফুল ইসলাম (৩৩), শাহ আলম কাজল (২৬), সাইফুল ইসলাম
লাভলু (৫০), নুর আলম (৩৮), আনোয়ার হোসেন মান্টু (২৫), জামাল (৪৬), কামাল (৩৮),
আব্দুল শুকুর সোহেল (৩৫), ১১ আব্দুল মান্নান ওরফে সুমন (২৭), নজরুল ইসলাম (২৬) ও খোরশেদ
আলম রাজা (২৪)।
ডিবি কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, এই চক্রটি পরিকল্পনা অনুযায়ী
গাড়ি নিয়ে কোন সভা, সমাবেশে, সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে, বাস বা রেলস্টেশনে, মার্কেটে
যায়। তাদের একজন মোবাইল চুরি করে তাদের এক
সদস্যের কাছে দিয়ে দেয়। ওই সদস্য তৎক্ষণাৎ মোবাইলটি বন্ধ করে আরেক সদস্যর কাছে দিয়ে
নতুন মোবাইল চুরির অভিযানে নামে।
তিনি বলেন, “পরে এসব মোবাইলের লক খুলে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে নতুন সেটআপ দিয়ে বাজারে
বিক্রির উপযোগী করে তুলে। আই
ফোনের ক্ষেত্রে চক্রটি আইটি বিশেষজ্ঞ খোরশেদ আলম রাজার সাথে যোগাযোগ করে।
“এই রাজা আইফোনের ক্ষেত্রে মেসেজের মাধ্যমে ফিশিং লিংক
পাঠিয়ে মোবাইলের প্রকৃত মালিকের কাছে থেকে স্ক্রিন লক এবং আইক্লাউড সম্পর্কিত তথ্য
সংগ্রহ করে
লক খুলে ফেলে এবং আইক্লাউড মুছে ফেলে।”
এরপর ফোনগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হত বলে জানান ডিবি কর্মকর্তারা।
তাদের কাছ থেকে দেড় শতাধিক মোবাইল ফোনসহ
লক খোলার বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিম কার্ড, মেমোরি কার্ড, হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়।