সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের চাপ তেমন না থাকায় কাউন্টারে খুব বেশি ব্যস্ততা নেই। কোনো কোনো বাসের কর্মীদের হাঁকডাক দিয়েও যাত্রী খুঁজতে দেখা গেল।
বরিশালগামী সূর্যমুখী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. সারওয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাত্রী বের হচ্ছে না। আমরা ডাকাডাকি করেও যাত্রী পাচ্ছি না। যাত্রীর চাপ নেই।
গাড়ি ছাড়তে দেড়ি হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রাস্তায় জ্যাম কম, গাড়ি সঠিক সময়ে এসে পৌঁছাচ্ছে, মাঝে মাঝে আধাঘণ্টা… দেরি হচ্ছে, তবে আমরা সঠিক সময়ে গাড়ি ছাড়তে পারছি।”
ঈদের তিন দিনের ছুটির আগে এবার মে দিবস আর শুক্র-শনি মিলিয়ে মোট ছয় দিনের ছুটি পেয়ে গেছে মানুষ। তাছাড়া ভোগান্তি এড়াতে অনেকে পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। সে কারণে ছুটি শুরুর পর উপচে পড়া ভিড় আর হচ্ছে না বলে মনে করেন ঢাকা-মাদারীপুর রুটের সার্বিক পরিবহনের কাউন্টারম্যান মো. শওকত।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যে যার মত সুবিধা অনুযায়ী বাড়ি যাচ্ছে। আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হত, এখন রেগুলার যাত্রীও তেমন নাই।”
সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো মাইনুল জানান, “আমাদের বাসে কোনো শিডিউল সমস্যা হচ্ছে না। ফেরিঘাটে তেমন জ্যাম নেই। ঠিক সময়েই বাস আসছে।”
তবে শনিবার থেকে চাপ একটু বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে যাত্রী কম থাকলেও গাবতলীতে অনেক কাউন্টারে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছিল। পরে যাত্রীদের অভিযোগ শুনে পাঁচ কাউন্টারকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাবতলীর সেলফী পরিবহনকে ১ হাজার টাকা, শ্যামলী পরিবহনকে ৫০০, সাঁথি এন্টারপ্রাইজকে ১ হাজার, অরিন ট্রাভেলসকে ১ হাজার টাকা ও শ্যামনগর পরিবহনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, “আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এখানে এসেছি। এটা মূলত বিআরটিএ এর কাজ। আমরা অ্যাডিশনাল হিসেবে এসেছি, যাতে যাত্রীর কোনো হয়রানি পোহাতে না হয়। যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে আমরা বিভিন্ন কাউন্টারে গেছি।”