বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরে আসেন বলে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল জেমস সি. ম্যাকনভিলের আমন্ত্রণে এই সফরে গিয়েছিলেন জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ।
এই সফরে গত ২০ থেকে ২২ এপ্রিল তিনি ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল জেমস সি. ম্যাকনভিল, ন্যাশনাল গার্ড ব্যুরো প্রধান ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল ড্যানিয়েল আর হোকানসন, ভাইস চিফ অব স্টাফ জেনারেল জেমস এম মার্টিন, মেরিন কোরের অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্ট জেনারেল এরিক এম এবং অফিস অব আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের পরিচালক নরি এবেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়, সাক্ষাতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, দুর্যোগ পরবর্তী মানবিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির ‘নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া’ (এনইএসএ) বিভাগের প্রাক্তন গ্র্যাজুয়েট হওয়ায় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে এনইএসএ সেন্টারের হল অব ফেইমে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিষ্ঠিত করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে এনইএসএ সেন্টারের অধ্যাপকসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান সেখানকার লিংকন হলে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিষয়ে বক্তব্য দেন এবং প্রশ্নত্তোর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব দি ইউএস আর্মি’ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে, জাতিসংঘের সিকিউরিটি অ্যান্ড সেইফটি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল গিলেজ মিচাউস, ভারপ্রাপ্ত মিলিটারি অ্যাডভাইজার মেজর জেনারেল মওরিন ও’ব্রায়ান, পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ বিয়ারি, অপারেশন সাপোর্ট বিভাগের অ্যসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান সভার্স এবং পুলিশ অ্যাডভাইজার লুইস রিবেরিও ক্যারিলহোর সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান।
সেসব বৈঠকে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এছাড়া জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ও সরঞ্জামাদির সংখ্যা বাড়ানো এবং ব্যবহৃত সরঞ্জাম প্রতিস্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত ইফতার এবং নৈশভোজেও অংশ নেন সেনাপ্রধান।
তার এই সফরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়বে এবং জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।