ক্যাটাগরি

শরীয়তপুরের ফেরিঘাটে গাড়ির ওজন মাপতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

ওজন মাপতে টাকা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করলেও ঘাটকর্মীরা বকশিশ
নিচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন।

খুলনা থেকে আসা ট্রাকচালক মনির মিয়া, যশোর থেকে আসা হাসান, বরিশাল
থেকে আসা চান মিয়া অভিযোগ করেন, গাড়ি ওজন মাপার জন্য টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও তাদের
১০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। আর ফেরির ভাড়া তো আছেই।

এই নৌপথে ফেরি পারের জন্য ২০ টনের কম ওজনের গাড়ির ভাড়া এক হাজার ৪৫০
টাকা। ২৩ টন পর্যন্ত এক হাজার ৮৫০ টাকা। ওজন এর চেয়ে বেশি হলে প্রতিটনের জন্য ১৬০
টাকা করে দিতে হয়।

ফেরিতে ওঠার আগে গাড়ির ওজন মাপা হয়।

ওজন মাপাতে গিয়ে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দিতে হয় বলে যশোর থেকে আসা
কাদির মিয়াসহ অন্যান্য চালকরা।

শরীয়তপুরের নরসিংহপুর বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল মোমিনের
লোকজন এই টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা মো. সুরুজ
মিয়া স্বীকার করেছেন, “ওজন মাপতে কোনো টাকা লাগে না।

“তবে চালকরা ইচ্ছা করে একশ-দুইশ টাকা দিয়ে গেলে আমরা সেটা নেই। এর
বেশি কিছু না।”

ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমিনও ভাড়ার বাইরে কোনো টাকা নেওয়া হয় না বলে দাবি
করেন।

তবে বকশিশ নেওয়া হয় কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “ঈদ উপলক্ষে চালকরা
একশ-দুইশ টাকা বকশিস দিতে পারে।”