স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের
বুলেটিনে গত এক দিনে শূন্য মৃত্যুর পাশাপাশি ১৭ জন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়।
এর ১৪ জনই ঢাকা জেলার।
মহামারী পরিস্থিতির উন্নতিতে এর
আগে গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এরপর আর কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের
সংখ্যা মতোই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৯১ জন।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে
উঠেছেন ২৫৮ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪
ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ রোগী শনাক্ত হয়।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৬৩
শতাংশ ছিল।
গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর
মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের। তাদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা। এ বিভাগে
গাজীপুর জেলায় একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার জেলায় একজন
এবং সিলেটে একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর,
খুলনা ও বরিশাল বিভাগে কোনো রোগী মেলেনি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম
সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের
মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে
এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত
হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত
ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৩০ লাখের বেশি।
