ক্যাটাগরি

কোহলির ব্যাটে রানের আভাস

মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে শনিবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ঠিক টি-টোয়েন্টি ঘরানার ইনিংস নয়। তবুও পরিস্থিতির বিবেচনায় কোহলির অসংখ‍্য পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের ভীড়ে আলাদা হয়েই থাকতে পারে এটি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের এই ব্যাটসম্যানের এবারের আইপিএল কাটছে ভীষণ সাদামাটা। আসরে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৩০ রান পার করতে পারলেন স্রেফ তৃতীয়বার। বাকি ৭ ম্যাচের পাঁচটিতেই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। যেখানে ছিল টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক।

টানা রান খরায় থাকা কোহলিকে ক্রিকেট থেকে কয়েক মাসের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। আবার বার্তা পেয়েছেন, মাঠে থেকেই নিজের ছন্দ খুঁজে নেওয়ার।

পছন্দের পজিশন তিনে নেমে সাফল্য মিলছিল না, তাই ওপেনিংয়ে নামার চ্যালেঞ্জ নেন কোহলি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেও এবার ঠিকই খেললেন পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস।

ইনিংস শুরু করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ শামিকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন কোহলি। পরের বলে মারেন আরেকটি।

পরে আলজারি জোসেফকে মারেন টানা দুই চার। লকি ফার্গুসনের লো ফুল টস লং-অন দিয়ে ওড়ানোর পরের বলে চার হাঁকান ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে।

দায়িত্বশীল ব‍্যাটিংয়ে এগিয়ে গিয়ে ত্রয়োদশ ওভারে পৌঁছান পঞ্চাশে, ৪৫ বলে। আইপিএলে সবশেষ ১৫ ইনিংসে যা তার প্রথম।

এরপর অবশ‍্য যেতে পারেননি বেশিদূর। শামির দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ফেরেন বোল্ড হয়ে।

সঙ্গে রজত পাতিদারের ফিফটি ও গ্লেন ম‍্যাক্সওয়েলের ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭০ রান করে বেঙ্গালোর।

রান তাড়ায় দলকে দারুণ শুরু এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। পরে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩ বল বাকি থাকতে দলকে ৬ উইকেটের দারুণ এক জয় উপহার দেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া।

এক ছক্কা ও ৪টি চারে দক্ষিণ আফ্রিকার মিলার করেন ২৪ বলে ৩৯। ভারতের তেওয়াতিয়া খেলেন ২ ছক্কা ও ৫ চারে ২৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। তাদের দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৪০ বলে ৭৯ রানের।