ক্যাটাগরি

‘অফিসে না গেলেও চলবে’ এয়ারবিএনবির কর্মীদের

বাসা ভাড়ার প্ল্যাটফর্ম
কোম্পানিটি বৃহস্পতিবার কর্মীদের জানিয়েছে, তারা চাইলে স্থায়ীভাবে রিমোট অবস্থান থেকে
সবসময় কাজ করতে পারবে। কর্মীরা বর্তমানে যে দেশে কাজ করছেন সে দেশের যে কোনো অংশ থেকেই
কাজ করতে পারবেন।

ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি আরও
জানিয়েছে, এর ফলে কর্মীদের বেতনে কোনও কাটছাঁট হবে না।

“এর অর্থ হলো, যদি কোনও
কর্মী এমন কোনও শহরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যেখানে জীবনযাত্রার খরচ কম, তবে বেতন
কমানো হবে না।”

‎বৃহস্পতিবার কর্মীদের
কাছে পাঠানো এক দীর্ঘ ইমেলে, সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান চেস্কি নতুন নীতিমালা
এবং কর্মীদের কাছে তার প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। মেইলে তিনি বলেছেন,
স্থায়ী এই নমনীয়তা প্রতিষ্ঠানটিকে “বিশ্বের সেরা কর্মীদের নিয়োগ এবং ধরে রাখায়” সুবিধা
দেবে।

বিশ্বব্যাপী এয়ারবিএনবি’র
ছয় হাজার কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।‎

তবে, আবাসস্থল বদলানোর
আগে সিইও চেস্কি কর্মীদের আগে তাদের যার যার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে
নিতে বলেছেন। আর যারা ভিন্ন দেশে গিয়ে কাজ করতে চান তাদের এই সুবিধা “এই বছরই দেওয়া
সম্ভব হবে না” বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি “কর্মীরা মূল কাজের দায়িত্ব যেখানে পালন
করবেন, সেই  অফিস বা একটি নির্দিষ্ট স্থানটিতে
কিছু রুটিন ভূমিকাও পালন করতে হবে।

এয়ারবিএনবি’র কর্মীদের
জন্য এই ঘোষণা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল না। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারীতে চেস্কি
বাসা থেকে বা রিমোট অবস্থান থেকে কাজের বিষয়ে বরাবরই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছেন।

‎জানুয়ারিতেই, চেস্কি‎‎
ঘোষণা‎‎ করেছিলেন যে তিনি এয়ারবিএনবি’র মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মে‎‎ ‎‎তালিকাভুক্ত অন্যান্য
লোকের বাড়িতে থাকবেন। এর ফলে তিনি প্রতি কয়েক সপ্তাহে শহর থেকে শহরে থাকতে পারেন।

ভবিষ্যদ্বাণী করে চেস্কি
বলেছিলেন, তার ধারণা, ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ প্রবণতা হবে “হাজার হাজার শহর ও
শহরে ছড়িয়ে পড়া লোকজন সপ্তাহ, মাস বা এমনকি পুরো ঋতুতে একসঙ্গে থাকবেন।‎

“সেপ্টেম্বরের পর থেকে
বিশ্বের ১৭০টি দেশের প্রতিটি এলাকায় বছরে ৯০ দিন পর্যন্ত থেকে কাজ করতে পারবেন।”–
চেস্কি লিখেছেন।

“অবশ্য প্রত্যেকেরই ট্যাক্স
এবং বেতনের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানার দরকার হবে, তবে আমরা আপনাকে এই নমনীয়তা দিতে
আগ্রহী।”